প্রতীকী ছবি।
ভোট পরবর্তী হিংসার গোত্রে পড়ে না বীরভূমের কাঁকরতলায় বিজেপি কর্মী মিঠুন বাগদি খুনের মামলা। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুবরাজপুর আদালতে দেওয়া ওই মামলার চার্জশিটে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সূত্রের খবর।
সিবিআই সূত্রে খবর, রাজ্য পুলিশ যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল, সিবিআইয়ের দেওয়া ২০ পাতার চার্জশিটে রয়েছে সেই পাঁচ জনেরই নাম। যা রাজ্য পুলিশের তদন্তকে কার্যত মান্যতা দেয়। সব মিলিয়ে স্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। অন্য দিকে, বিজেপির দাবি, সিবিআই চার্জশিটে যাই উল্লেখ করুক মিঠুন ভোট পরবর্তী হিংসার বলি। ওই খুনের ঘটনায় ৫ জন অভিযুক্তের তিনজন এখনও জেল হেফাজতে রয়েছে। বাকি দু’জন জামিন পেয়েছে। অভিযুক্তদের জেরা করা হয়েছে বলে সিবিআইয়ের দাবি।
চলতি বছরের ১২ জুন কাঁকরতলা থানার নবসন গ্রামে বছর পঁচিশের ওই বিজেপি কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। প্রথম থেকেই তৃণমূল দাবি করে এসেছিল, গত বছরের ডিসেম্বরের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক যুবকের। অভিযোগ সেই যুবকের পরিবারের আক্রোশেই খুন হয়েছেন মিঠুন। একই দাবি ছিল পুলিশের।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলা হিসেবে বর্তমানে ওই মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। গত মাসের ২৮ তারিখ থেকে তদন্ত শুরু করে সংস্থা। তার পরে এই চার্জশিট। ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্তে এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত তিনটি চার্জশিট দিল সিবিআই।