Visva Bharati

পাঁচিল: নড়ে বসল পুলিশও

শান্তিনিকেতন দমকল অফিস পর্যন্ত রাস্তায় যে ক’টি সিসিটিভি আছে, সেগুলির প্রয়োজনীয় ফুটেজ এ দিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২১
Share:

এ ভাবেই ভাঙচুর চলেছিল। —ফাইল চিত্র।

পৌষমেলার মাঠের পাঁচিল ভাঙার তদন্তে এ বার তৎপর হল বীরভূম জেলা পুলিশ। ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আগেই ঘুরে গিয়েছে এই ঘটনার তদন্তে। শনিবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন বোলপুরের সার্কেল ইন্সপেক্টর কল্যাণ মিত্র, শান্তিনিকেতন থানার ওসি কস্তুরী মুখোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তের স্বার্থে মেলার মাঠ-সহ নানা এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Advertisement

জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, “মেলার মাঠের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোট ১২টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অভিযোগগুলির তদন্তেই এ দিন পুলিশের প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন।’’ এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ওই দুই পুলিশ আধিকারিক এবং এক কনস্টেবল বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢোকেন। ঘণ্টা দেড়েক পরে তাঁরা সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পুলিশ সূত্রের খবর, কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো-সহ ককেয়ক জন কর্মী। সেখান থেকে শান্তিনিকেতন দমকল অফিস পর্যন্ত রাস্তায় যে ক’টি সিসিটিভি আছে, সেগুলির প্রয়োজনীয় ফুটেজ এ দিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে দাবি, তদন্তের জন্য কিছু নথি পাওয়া গেলেও প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি এখনও বিশ্বভারতীর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ সুপার বলেন, “অভিযোগের সঙ্গে জড়িত সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আগামী দিনেও তদন্তের স্বার্থে এই জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।’’ গত ১৭ অগস্টের ওই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁরা সকলেই জামিন পেয়েছেন। পাঁচিল ভাঙার ঘটনার পিছনে আর্থিক লেনদেন ছিল কিনা, তার তদন্তে এসেছিল ইডি-র দল।

Advertisement

বিশ্বভারতী সূত্রে জানানো হয়েছে, তদন্তে সব রকমের সহযোগিতা করা হচ্ছে। মেলার মাঠের যে সিসিটিভি গুলি ১৭ অগস্ট ভাঙচুর করা হয়েছিল, সেগুলির ফুটেজও এ দিন পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement