Bidyut Chakraborty

নাম কাটা যাবে না! প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎকে জাতিবিদ্বেষ মামলা থেকে নিষ্কৃতি দিল না আদালত

বিদ্যুতের আইনজীবী আবেদন করেন, তাঁর মক্কেল উপাচার্য পদে থাকাকালীন ওই মামলা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি আর উপাচার্য নেই। তাই তাঁকে ওই মামলা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হোক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৩
Share:

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।

জাতিবিদ্বেষ সংক্রান্ত মামলা থেকে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিষ্কৃতি দিতে রাজি হল না আদালত। মামলাটি থেকে যাতে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়, সিউড়ি আদালতে সেই আর্জি জানিয়েছিলেন প্রাক্তন উপাচার্য। শুক্রবার আদালত বিদ্যুতের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

Advertisement

বিদ্যুতের বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন বিশ্বভারতীরই কর্মী প্রশান্ত মেশরাম। উপাচার্য ছাড়াও বিশ্বভারতীর জয়েন্ট রেজিস্ট্রার তন্ময় নাগ, জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইন্টারনাল অডিট অফিসার প্রশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই মামলা চলছে সিউড়ি আদালতে। শুক্রবার তার শুনানি ছিল। বিদ্যুতের আইনজীবী আবেদন করেন, তাঁর মক্কেল উপাচার্য পদে থাকাকালীন ওই মামলা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি আর উপাচার্য নেই। তাই তাঁকে ওই মামলা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হোক। আদালত এই আর্জি মানতে চায়নি। প্রসঙ্গত, এই মামলায় আগেই শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর হয়েছে মহুয়া, তন্ময় এবং প্রশান্তের।

আগের শুনানিতে বিদ্যুৎকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উপাচার্য। তাতে স্থগিতাদেশও মিলেছিল। সেই নির্দেশের প্রতিলিপি শুক্রবার সিউড়ি আদালতে জমা করেন বিদ্যুতের আইনজীবী।

Advertisement

চলতি বছরের ৫ জুলাই উপাচার্য-সহ বিশ্বভারতীর চার জনের বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষের মামলা করেছিলেন প্রশান্ত। তিনি বিশ্বভারতীর অ্যাকাডেমিক এবং রিসার্চ বিভাগের রেজিস্ট্রার। তাঁর অভিযোগ, ওড়িশার কোরাপুটে সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিয়ামক পদে মনোনীত হন তিনি। তাঁর পদোন্নতি আটকাতে নানা রকম ভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়। এমনকি, তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার জন্য তাঁকে অপমান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন প্রশান্ত। এ নিয়ে তিনি প্রথমে জাতীয় তফসিলি কমিশনের দ্বারস্থ হন। পরে সিউড়ি আদালত, কলকাতা হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement