—ফাইল চিত্র।
বিনয় তামাং শিবির শনিবারই বার্তা দিয়েছিল। রবিবার সব ধন্দ ঝেড়ে ফেলে তাদের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মঙ্গলবার ৩ নভেম্বর নবান্নে বিনয়, অনীত থাপাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে যোগ দিতে আজ, সোমবার কলকাতা যাবেন বিনয় এবং অনীত। রবিবার মোর্চার তরফে কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র কেশবরাজ পোখরেল বলেন, ‘‘পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখাটাই এখন সবার প্রাথমিক কর্তব্য। এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের সভাপতি বিনয় তামাং এবং সাধারণ সম্পাদক অনীত থাপার বৈঠক হবে মঙ্গলবার দুপুর ৩টেয়।’’
শাসক শিবির সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরে পাহাড়ের যে পরিস্থিতি, তা নিয়ে নবান্ন খুব একটা সন্তুষ্ট নয়। করোনার ধাক্কা সামলে যখন পুজোর মরসুমে পর্যটন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, সেই সময়ে পরপর মিছিল হয়েছে বিনয়পন্থীদের। কখনও দার্জিলিঙে, কখনও কালিম্পঙে তো কখনও কার্শিয়াং বা মিরিকে। শাসক শিবিরের একটি অংশের বক্তব্য, এই মিছিলগুলিতে পাহাড়ে উত্তাপ বেড়েছে। এর পরেই নবান্নের বৈঠকের ডাক এবং তার পরে তা নিয়ে ধন্দের সৃষ্টি। যদিও শনিবার বিনয় শিবির থেকে জানানো হয়েছিল, দু’এক দিনের মধ্যেই বৈঠকের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে।
পাহাড়ের পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বিমল গুরুং আত্মপ্রকাশ করে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানানোর পরে পাহাড়ে বিনয়দের সঙ্গে তাঁর ক্ষমতার ভারসাম্য নির্ধারণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সেই কাজ শাসক শিবির করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেখানে যাতে নিজেদের দাবি জোরের সঙ্গে পেশ করা যায়, সে জন্যই বিনয় শিবিরের তরফে মিছিল করে শক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে বলে মনে করছেন পাহাড়ের অনেকেই। একই সঙ্গে পাহাড়ের প্রশ্ন, ৩ তারিখের বৈঠকে কি বিমলও হাজির থাকবেন?
আরও পড়ুন: বাজি বিক্রি নয়, সিদ্ধান্তে কালিকাপুর বাজিবাজার
আরও পড়ুন: এ বার যাত্রী প্রত্যাখ্যানের রোগ বাইক ট্যাক্সিতেও
পাহাড় পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় তাই নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রবিবার মেদিনীপুরে বলেন, ‘‘গুরুংয়ের বিরুদ্ধে তামাংকে লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা জানি না, পরিস্থিতি কোথায় যাবে।’’ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও এ দিন দার্জিলিং গিয়েছেন। কলকাতায় বিমল গুরুংয়ের আত্মপ্রকাশের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আইনের শাসন সর্বত্র কার্যকর রাখতে হবে। সবার জন্য আইন সমান।’’ এর আগে দিল্লিতে থাকাকালীন গুরুং বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন বলে খবর। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার বাড়ির এক অনুষ্ঠানে নড্ডার সঙ্গেই গুরুং এবং রোশন গিরিকে দেখা গিয়েছে ছবিতে। এই বিষয় তুলে প্রশ্ন করা হলে ধনখড় অবশ্য বলেন, ‘‘এ সব আমার জানা নেই। আমি রাজনীতি বা রাজনৈতিক নেতাদের সম্পর্কে বলতে পারব না।’’