—ফাইল চিত্র।
দুই পূর্ণমন্ত্রী আর দুই প্রতিমন্ত্রী—বাজেট অধিবেশনে বিধানসভার ট্রেজারি বেঞ্চে উপস্থিতির এই দৃশ্যে ফের বিরম্বনায় সরকারপক্ষ। এ নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভই শুধু নয়, বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় সভাকক্ষেই ভর্ৎসনার সুরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মন্ত্রীরা নেই কেন? এই পরিস্থিতি একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়।’’
চলতি বছরের অর্ধেক সময় পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশন হয়েছিল তিন দিন। তাতে ধাক্কা খেয়ে দফতরওয়াড়ি বাজেট চর্চায় দিন বাড়ানোর ভাবনা ছিল সরকারপক্ষের। কিন্তু এদিন সকাল থেকেই সরকারপক্ষের বেঞ্চ ছিল একেবারে ফাঁকা। মন্ত্রীদের মতো বিধায়কের সংখ্যাও ছিল খুবই কম। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যখন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল আনলেন তখন এই অনুপস্থিতি নিয়ে আপত্তি জানাতে শুরু করে বিরোধীরা। কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তী স্পিকারের উদ্দেশে বলেন, ‘‘এভাবে বিধানসভা চলতে পারে না। মন্ত্রীদের ডেকে পাঠান। তাঁরা না এলে অধিবেশন বন্ধ রাখুন।’’ তার সঙ্গে গলা মিলিয়ে কংগ্রেস ও অন্য বাম বিধায়কেরাও চিৎকার শুরু করে দেন। আপত্তি জানিয়ে ওয়েলে নেমে পড়েন মনোজবাবু। পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায় এসে মনোজবাবুকে নিয়ে কংগ্রেসের বেঞ্চের দিকে সরিয়ে দেন।
অধিবেশন চালিয়ে গেলেও নির্মলবাবুকে ডেকে বিরক্তিই প্রকাশ করেন স্পিকার। শুধু তাই নয়, সম্ভব হলে কয়েকজন মন্ত্রীকে ডেকে পাঠাতে বলেন তিনি। এই বার্তা পাওয়ার প্রায় আধ ঘন্টা পরে কয়েকজন মন্ত্রী সভাকক্ষে এসে পৌঁছন। অবশ্য দু’চারজন উপস্থিত হন। মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি নিয়ে বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী পরে বলেন, ‘‘তৃণমূলের আমলে পরিষদীয় রীতিনীতি জলাঞ্জলি দিয়েছে সরকারপক্ষ। গণতন্ত্রে বিন্দুমাত্র বিশ্বাস না থাকায় মন্ত্রীরা বিধানসভাকেও উপেক্ষা করছেন।’’ কেন? পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রথযাত্রার দিন অনেকে থাকতে পারেননি। তবে মন্ত্রীদের উপস্থিত থাকা উচিত।’’ বিরোধীদের কটাক্ষ করে তাঁর পাল্টা অভিযোগ, আজ যাঁরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা ক্ষমতায় থাকাকালীন বারবার মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি নিয়ে তৎকালীন স্পিকারকে সতর্ক করতে হয়েছে। বহুবার সভায় কোরাম পর্যন্ত হয়নি।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।