সাংবাদিক সম্মেলনে বিমল গুরুং। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য সফরের সময়ই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে তোপ দাগলেন বিমল গুরুং। এ বার বিধানসভা নির্বাচনে ‘সবক’ শেখানোর হুঁশিয়ারিও দিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং পুরসভার ১৭জন কাউন্সিলারের হাতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পতাকা তুলে দেন বিমল এবং রোশন গিরিরা। কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিমল ঘোষণা করেন, “কেন্দ্র প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এ বার ভোটে তৃণমূল সরকারের হয়ে লড়াই করব। ভোটে সবক শেখাব বিজেপিকে।”
বিমল ঘোষণা করেন বিজেপির সঙ্গে তাঁদের আর কোনও সম্পর্ক নেই। ১৭জন কাউন্সিলার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চায় ফিরে এসেছেন। পাহাড়ে বিজেপির কোনও জায়গা হবে না। বিমলের আত্মপ্রকাশের পর থেকেই পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন মোড় এসেছে। এক দিকে বিনয় তামাং এবং তাঁর অনুগামীরা জমি বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিমল গুরুংকে অপরাধী বলে প্রচারের নেমেছে। তখন অন্য দিকে নিজের হারানো জমি পুনরুদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বিমল এবং রোশন গিরিরাও। সম্প্রতি বিমলের ফিরে আসা নিয়ে বিনয় কটাক্ষের সুরে মন্তব্য করেছিলেন, কে বিমল গুরুং? ও এখন ক্লোজড চ্যাপ্টার। ওকে তো হাইকোর্ট আপরাধী ঘোষণা করেছে।
যদিও এ দিন কেন্দ্র এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও, বিনয়ের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি বিমল। ১৭ জন কাউন্সিলারকে নিজের দলে যোগদানের পর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে যে তাঁরা কোমর বেধে নামছেন, এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে ফের একবার তা স্পষ্ট করে দেন বিমল। গোর্খা নেতা প্রকাশ্যে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে সওয়াল করে সুর চড়াচ্ছেন, তখন বিনয়ও নবান্নে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ পর্ব সেরে ফেলেছেন। এখন দু’পক্ষই পাহাড়ে শক্তি প্রদর্শনে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন দেখার ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ‘লাভের গুড়’ কার ঝুলিতে ওঠে।
আরও পড়ুন: শাহী বৈঠকে শোভন-বৈশাখী, রাতে সাক্ষাৎ শহরের হোটেলে
আরও পড়ুন: টাকে চুল গজালেও রাজ্যে বিজেপি নয়, অমিতকে আক্রমণে চড়া সুর কল্যাণের