বিমল গুরুং। ফাইল চিত্র।
প্রায় দু’বছর পরে ফের দিল্লির বিমানে চাপলেন বিমল গুরুং। এমন একটা সময়ে দিল্লি গেলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি, যখন বিভিন্ন কারণে তাঁর সঙ্গে শাসকদলের সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। গুরুংয়ের মুখে ফিরে এসেছে পৃথক রাজ্যের দাবি। বিজেপি সাংসদ থেকে স্থানীয় নেতারা তাঁর প্রতি নরম মনোভাব দেখাতে শুরু করেছেন।
যদিও গুরুং শনিবার দুপুরের বিমান ধরার আগে বাগডোগরায় জানান, ৩০ অগস্ট গোর্খাদের একটি সংগঠনের অনুষ্ঠান রয়েছে। সেখানে যোগ দিতেই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। গুরুং বলেন, ‘‘একটা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছি। রাজনীতির কোনও বিষয় নেই।’’ দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে হবে ওই অনুষ্ঠানটি। এর মধ্যে কি তাঁর সঙ্গে বিজেপির কারও যোগাযোগ হতে পারে? গুরুং অবশ্য বলেছেন, ‘‘বিজেপির কারও সঙ্গে দেখা করার বিষয় নেই।’’
গুরুংয়ের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক ২০০৭ থেকে। এর পরে তাঁর সাহায্যেই তিন বার বিজেপি দার্জিলিং লোকসভা আসন থেকে বিপুল ভোটে জিতেছে। ২০১৭ সালে তিনি পাহাড় ছাড়া হওয়ার পরে দিল্লিতে বিজেপি-র আশ্রয়েই ছিলেন দাবি । তবে ২০২০ সালের অক্টোবরে হঠাৎ কলকাতায় আত্মপ্রকাশ করে তিনি জানান, বিজেপির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি তৃণমূলের হাত ধরতে চান। সেই ভাবেই ২০২১-এ বিধানসভা ভোট, তার পরে দার্জিলিং পুরভোটে তাঁর দলের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হয়। কিন্তু দুই ভোটেই মোর্চার ভূমিক্ষয় নজরে পড়ার মতো। বরং দার্জিলিং পুরভোট এবং জিটিএ ভোটে (যেটা গুরুং বয়কট করেন) নতুন শক্তি হিসাবে উঠে এসেছেন অনীত থাপা ও অজয় এডওয়ার্ড।
জিটিএ ভোটের আগে অনশন শুরু করে অসুস্থ হয়ে পড়েন গুরুং। মোর্চার তরফে তাঁকে সিকিমে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার বিজেপি নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। একটি মহলের বক্তব্য, দিল্লিতে গোর্খাদের যে গোষ্ঠী আন্দোলন করে থাকে, তাতে বিজেপির মদত অস্বাভাবিক নয়।
গুরুং দিল্লি যাওয়ার পথে বলেন, ‘‘সময় সব কথা বলবে। এখনই আর কিছু বলছি না।’’