বিমল গুরুঙ্গ।
তিনি ধরা পড়েছেন বলে খবর রটেছিল। তার পরেই ফের ভিডিও বার্তায় উপস্থিতি জানান দিলেন বিমল গুরুঙ্গ।
বুধবার একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ওই ভিডিও-বার্তাটি ‘পোস্ট’ করেছেন পাহাড়ের আর এক আত্মগোপনকারী নেতা রোশন গিরি। প্রায় তিন মিনিটের ওই বার্তায় নীল ট্র্যাকস্যুট পরা গুরুঙ্গ দাবি করেছেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে যা রটেছে তা ঠিক নয়। তাঁর দাবি, ‘‘ওই খবর ‘ভাইরাল’ হলেও আদতে সত্যি নয়। আমি নিরাপদে ও সুরক্ষিত আছি। নিজের জায়গাতেই আছি। সময় হলেই ফের পাহাড়ের মানুষের পাশে যাব। কোনও ভাবেই নিজেকে বিক্রি করব না।’’
মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে ভারত-নেপাল সীমান্তের মিরিক লাগোয়া কোনও এলাকা থেকে গোয়েন্দাদের হাতে গুরুঙ্গ আটক হয়েছেন বলে একটি বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তা নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফেও খোঁজখবর শুরু হয়। নেপালের ইলম লাগোয়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে থাকলে কেন্দ্রের সহায়তা নিতেই হবে বলে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থার একাংশের মত। রাজ্যের তরফে অবশ্য বিষয়টি জানা নেই বলে এড়িয়ে গিয়েছেন নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকার দার্জিলিঙের অফিসারদের অনেকেই।
এই অবস্থায় এ দিন বিকেলে রোশনের তৈরি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিমলের ওই বার্তা আসে। তবে এ নিয়ে পাহাড়ের মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙ্গ, অনীত থাপারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি খারিজ হওয়ার পরেও গোপন ডেরা থেকে ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন বিমল গুরুঙ্গ। তবে এ বারের ভিডিওতে আগেকার ফুটেজের চেয়ে অনেকে বেশি পেশাদার ও কারিগরি দক্ষতার ছাপ রয়েছে বলে দাবি করছেন মোর্চার অনেক নেতাই।
মোর্চার নানা গ্রুপেও ওই ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু, গুরুঙ্গ আদতে কবে ফিরবেন তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু কথা ওই বার্তায় নেই কেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিনয় শিবিরের অনেকেই। তাঁদের অনেকেরই ধারণা, পাহাড়ে ফেরা ক্রমশ দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে বলেই বার্তা দিয়ে কিছুটা সময় নিতে চাইছেন গুরুঙ্গ-রোশনেরা।