—প্রতীকী ছবি।
পুলিশের চাকরির সঙ্গে ঔপনিবেশিক আমলের দণ্ডবিধি (আইপিসি), ফৌজদারি বিধির (সিআরপিসি) অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক ছিল। প্রশিক্ষণে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সে সব শেখানো হত। কিন্তু দেশে নতুন আইনবিধি (দণ্ড সংহিতা) কার্যকর হতে চলেছে। তাই এ বার নতুন করে আইনের পাঠ পড়ানোর তোড়জোড় শুরু করেছে রাজ্য পুলিশও। প্রশাসনের খবর, নতুন আইনবিধি কার্যকর হওয়ার পরে যাতে পুলিশকর্মীদের সমস্যায় না পড়তে হয় তার জন্য কী করা উচিত সে ব্যাপারে সিআইডি আইন শাখা এবং ব্যারাকপুরের পুলিশ প্রশিক্ষণ কলেজকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য পুলিশের আইন বিভাগ।
পুলিশকর্তারা বলছেন, ১৮৬০ সালে তৈরি ভারতীয় দণ্ডবিধির (ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা আইপিসি) জায়গায় ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ চালু হবে। ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি বিধির (ক্রিমিনাল প্রসিডিয়োর কোড বা সিআরপিসি) বদলে আসছে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইন বদলে চালু হবে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’। পুরনো আইন বা বিধির বেশ কিছু ধারা বাতিল হচ্ছে। কিছু সংশোধনও হয়েছে। ফলে নতুন আইনে কাজ করতে যাতে সমস্যা না হয় এবং পুলিশকর্মীরা ‘সংহিতার’ সঙ্গে দ্রুত সড়গড় হতে পারেন, তার চেষ্টাই হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই নতুন বিধি এবং আইনের সঙ্গে কী ভাবে দ্রুত খাপ খাইয়ে নেওয়া যাবে তার পথ বাতলাতে দু’টি কমিটিও করা হয়েছে। ওই কমিটিগুলির কাজ নতুন আইনের সঙ্গে পুরনো আইনের ফারাক খুঁজে বার করা। এর পাশাপাশি, নতুন সংহিতার ব্যাপারে উপযোগী প্রশিক্ষণ কী ভাবে, তা-ও স্থির করবে ওই কমিটি। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, একটি কমিটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কলেজের অধীনে থাকবে এবং অন্যটি সিআইডির আইন শাখার হাতে। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা নিয়ে ব্যারাকপুর পুলিশ ট্রেনিং কলেজকে কাজ করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণের খুঁটিনাটি সব তারাই ঠিক করবে। সিআইডির আইন শাখার দায়িত্ব ন্যায় সংহিতা এবং সাক্ষ্য অধিনিয়মের বিভিন্ন ধারা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রিপোর্ট আকারে পাঠানো। ওই দুই কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দিলে সেই মতো পুলিশকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।