দেশে কর্মহীনতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তৈরি নীতি আয়োগকে কাঠগড়ায় তুলল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (বিএমএস)। নীতি আয়োগের ‘ভুল নীতি’র বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার পাশাপাশি তা সংশোধনের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও দিয়েছে গেরুয়া শিবিরের ওই শ্রমিক সংগঠন। তাদের দাবি অচিরেই মানা না হলে ভবিষ্যতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে তারা।
মোদী সরকারের সঙ্গে সহযোগী সংগঠন বিএমএস-এর মতান্তর নতুন নয়। এর আগে ওই দুই পক্ষের বিবাদ সামনে কেন্দ্রের কৃষক নীতির প্রশ্নে। অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলেও কেন্দ্রের বিভিন্ন আর্থিক নীতির বিরোধিতা করেছে বিএমএস। এ বার বিএমএসের সর্বভারতীয় সভাপতি সাজি নারায়ণন বলেন, ‘‘নীতি আয়োগের ‘ভুল নীতি’-র ফলেই ভারত কর্মহীন হচ্ছে। ’’
বিএমএস নেতৃত্বের বক্তব্য, দেশে এখন মূল সমস্যা কর্মসংস্থানের সঙ্কট। এ দেশে কৃষি এবং ক্ষুদ্র শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। অথচ, নীতি আয়োগের নীতির ফলে ওই দুই ক্ষেত্রের অর্থনীতিরই ক্ষতি হচ্ছে, কৃষিজমি শিল্পের জমিতে এবং শিল্পের জমি পরিষেবার জমিতে পরিণত হচ্ছে। নারায়ণনের অভিযোগ, ‘‘নীতি আয়োগের সংস্কারের উদ্দেশ্যই হচ্ছে, শ্রমিকদের কাজের সুযোগ কমানো। শ্রম আইন সংস্কারের মধ্য দিয়ে শ্রমের মূল্য কমানো, বিলগ্নিকরণ ইত্যাদি শ্রমিক বিরোধী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শ্রম ক্ষেত্রে নিয়োগ বন্ধ। প্রচুর পদের বিলুপ্তি ঘটানো হচ্ছে। দেশের সংগঠিত ক্ষেত্র সঙ্কুচিত হচ্ছে।’’ বিলগ্নিকরণের ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর অভাব ঘটবে বলেও মত নারায়ণনের। তাঁর দাবি, দেশের উন্নতির কথা চিন্তা করেন, এমন ব্যক্তিদের নিয়ে নীতি আয়োগ পুনর্গঠন করা হোক। চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের সম কাজে সম বেতনের দাবিতেও সরব হয়েছে বিএমএস।