রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের সঙ্গে জোট হবে কি না, তা এখন বিশ বাঁও জলে। এর মধ্যে শিলিগুড়িতে একটি বৈঠকের পরে শনিবার পশ্চিমবঙ্গে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র প্রথম পর্যায়ের সূচি ঘোষণা করলেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা কে সি বেণুগোপাল। ছিলেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী। প্রথম পর্যায়ে রাহুলের তিনটি সভা। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়িতে। লক্ষণীয় ভাবে দার্জিলিং পাহাড় নেই যাত্রাপথে। কংগ্রেস বলছে, পাহাড়ের নেতৃত্ব ও নতুন বন্ধু অজয় এডওয়ার্ডের যাত্রায় ও সমতলের সভায় থাকার কথা।
নেতারা জানান, ২৫ জানুয়ারি দুপুরে অসম থেকে কোচবিহারের বক্সিরহাটে পৌঁছে যাত্রার পতাকা তুলে দেওয়া হবে এ রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বের হাতে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ছুঁয়ে প্রথম পর্যায় শেষে ২৯ তারিখ বিহারের কিসানগঞ্জে পৌঁছবে যাত্রা। বেণুগোপাল বলেন, “রাহুল গান্ধী পরে মালদহ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের অন্যত্রও আসবেন। প্রস্তুতির সব কিছু আলোচনা করলাম। খুব ভাল আয়োজন হচ্ছে।”
স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে উৎসাহ ও হতাশা, দুই-ই রয়েছে। অনেকেই বলছেন, ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় রাহুল রাজ্যে আসেননি। এ বারে তিনি সভার জন্য বেছে নিয়েছেন মূলত সেই সব জায়গা যেখানে এক কালে দল শক্তিশালী ছিল এবং এখনও কিছু সংগঠন আছে। তবে আলিপুরদুয়ারে শুধু রাত্রিবাস ছাড়া অন্য কর্মসূচি না থাকায় সেখানকার কর্মীরা কিছুটা হতাশ। এ দিন বৈঠকে আলিপুরদুয়ারে যাত্রার দাবি জানান সেখানকার কংগ্রেস নেতা শান্তনু দেবনাথ। বৈঠকের পরে কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির নেতৃত্বকে নিয়ে অধীর পৃথক আলোচনায় বসেন।
পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে যাত্রা তুফানগঞ্জ হয়ে যাবে কোচবিহারের মা ভবানী চৌপথিতে। জনসভা হবে খাগড়াবাড়ি চৌপথিতে। ওই রাতে রাহুল থাকতে পারেন আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায়। ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি যাত্রা নেই। ২৮ জানুয়ারি ময়নাগুড়ি হয়ে জলপাইগুড়ি পৌঁছে জনসভা। ওই দিন শিলিগুড়ি পৌঁছে থানা মোড় থেকে পদযাত্রা ও গান্ধী চকে সভা করার কথা রাহুলের। রাতে থাকার কথা চোপড়ায়। ২৯ তারিখ সেখান থেকে ফের যাত্রা শুরু।