আপাতত ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলেই থাকবেন ইন্ডিয়ান সেকিউলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর বিধায়ক।
ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে একটি মামলায় ৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠাল বারুইপুর আদালত। অন্য একটি মামলায় তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে। আপাতত ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলেই থাকবেন ইন্ডিয়ান সেকিউলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর ওই নেতা।
হাতিশালার ঘটনায় লেদার কমপ্লেক্স থানায় আলাদা আলাদা দু’টি মামলা দায়ের হয়। ১২ এবং ১৩ নম্বর মামলা। ১২ নম্বর মামলায় পুলিশি হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয় নওশাদকে। নওশাদের আইনজীবী আনিসুর রহমান জানান, গত ৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির সময় ১৩ নম্বর মামলায় বিধায়ককে হেফাজতে চায়নি পুলিশ। ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানো হয়নি। ছ’দিন পর ওই লেদার কমপ্লেক্স থানার ১২ নম্বর মামলায় হেফাজতে নিতে চেয়ে দাবি জানায় পুলিশ। চার দিনের জন্য আদালত নওশাদকে হেফাজতে পাঠিয়েছে।
নওশাদের বিরুদ্ধে বিজেপি-যোগের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এই নিয়ে আদালতে ঢোকার মুখে নওশাদ বলেন, ‘‘আমার ফোন ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে। প্রশাসনের হাতে আমার ফোন দেওয়া রয়েছে। চেক করুক। যদি কারও সঙ্গে কোনও সংযোগ থাকে, আইন আছে, আমার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হোক।’’ নওশাদের সঙ্গেই ওই মামলা অভিযুক্ত আসমা খাতুন। তাঁকে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আইএসএফ কি বিজেপিকে রাজ্যে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে? আদালতে ঢোকার মুখে এই প্রশ্নের জবাবে আসমা বলেন, ‘‘তৃণমূল হল বিজেপির এক নম্বর দালাল। আমরা করছি না। তৃণমূল সুবিধা করে দিছে। তৃণমূলের চক্রান্তের শিকার আমরা।’’
অন্য দিকে, ২১ জানুয়ারি কলকাতার ধর্মতলায় পুলিশ ও আইএসএফ কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় আবারও সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ভাঙ্গরে আইএসএফ নেতা আসাদুল মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কাশিপুর থানা এলাকা থেকে লালবাজার থানা ও কাশিপুর থানার পুলিশ করল গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। একের পর এক আইএসএফ নেতাকর্মী এই ভাবে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় এলাকা থমথমে। ২১ জানুয়ারি ধর্মতলার ওই কাণ্ডের জেরেই গ্রেফতার করা হয়েছিল নওশাদ-সহ ১৯ জন আইএসএফ কর্মীকে। ধৃতদের মধ্যে এক জন নাবালক ছিল। তাকে জামিন দেওয়া হয়। পুলিশকে নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে।