সম্প্রতি গ্যাংটকে এক মঞ্চে পবন চামলিং ও ভাইচুং ভুটিয়া। —নিজস্ব চিত্র।
বার বার তিন বার। প্রথমে ছিলেন তৃণমূলে। পরে, নিজের দল ‘হামরো সিকিম’-এ। এ বার সিকিমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিঙের দল এসডিএফ (সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট)-এ যোগ দিচ্ছেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন তারকা ভাইচুং ভুটিয়া। সব ঠিক থাকলে আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ সিকিমের রাবাংলার এক জনসভায় ভাইচুং এসডিএফে যোগ দিতে পারেন। সে অনুষ্ঠানে থাকার কথা চামলিঙেরও।
বুধবার রাতে ভাইচুং ফোনে বলেন, ‘‘আমাদের তৈরি দল হামরো সিকিমও এসডিএফে মিশে যাবে। রাবাংলার অনুষ্ঠান থেকে পবন চামলিঙের নেতৃত্বে পথচলা শুরু করছি। সিকিম বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত নিতে হল। সভায় বিশদে সব বলব।’’
ভারতীয় ফুটবল থেকে রাজ্যের ফুটবলে জড়িয়ে থেকে ২০১১ সালের পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন ভাইচুং। ২০১৪ সালে দার্জিলিং লোকসভা আসন এবং ২০১৬ সালে শিলিগুড়ি বিধানসভা আসনে তিনি তৃণমূলের হয়ে লড়েন। বিধানসভায় হারের পরে, শাসক দলের শিলিগুড়ির নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন তিনি। পরে, তৃণমূল ছেড়ে ভাইচুং তৈরি করেন নিজের দল ‘হামরো সিকিম’ এবং যোগ দেন সিকিম রাজনীতিতে।
গত সিকিম বিধানসভা ভোটে লড়েন ভাইচুং। ‘হুইসল’ প্রতীক নিয়ে সিকিম জুড়ে চামলিঙের বিরুদ্ধে প্রচারও করেন। তবে ভোটে সুবিধা করতে পারেননি। প্রেম সিংহ তামাংয়ের নেতৃত্বাধীন ‘সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা’ বা এসকেএম সে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চামলিং ও ভাইচুং বোঝাপড়া গড়ে তুলতে শুরু করেন। সূত্রের দাবি, চলতি বছরের প্রথম থেকেই চামলিঙের সঙ্গে ভাইচুংয়ের সম্পর্ক মজবুত হয়। গত অক্টোবরে দুই নেতাকে পাশাপাশি দেখা যায়। ‘হামরো সিকিম’ পার্টির সভানেত্রী বীণা বাসনেট প্রথমে এসডিএফে যোগ দেন। ভাইচুং-ঘনিষ্ঠ অন্য নেতা-নেত্রীরাও সে দিকে পা বাড়ান। তাতেই মনে করা হচ্ছিল, ভাইচুংয়ের দল বদল সময়ের অপেক্ষা।
গত ছ’মাস ধরে তিনি ‘সিকিম বাঁচাও অভিযান’ নামে একটি প্রচার শুরু করেছেন চামলিং। আগামী বছর সিকিমে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তার আগে, ‘এসডিএফ ২.০’ নাম দিয়ে দলে নতুন প্রজন্মের নেতা-নেত্রীদের যোগদান শুরু করিয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, ভাইচুংয়ের মতো ওজনদার নাম এবং নতুন মুখদের এক জোট করে আগামী বিধানসভা ভোটে লড়তে চাইছেন তিনি, ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বেশি সময়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রেকর্ড গড়া পবন চামলিং।