ফাইল চিত্র।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলার আবেগ এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভিযোগ হাতিয়ার করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার ভবানীপুরের উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়ে বাংলার প্রতি বঞ্চনা এবং অসম্মানকে সামনে আনলেন তিনি।
শুক্রবার মনোনয়ন জমা দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উদ্ধৃত করে সমাজমাধ্যমে মমতা লিখেছেন, ‘মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক, আমি তোমাদেরই লোক’।
দিনক্ষণ দেখে গণেশ চতুর্থীর দুপুরে মনোনয়ন জমা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। করোনা বিধি মেনে শুক্রবার দুপুরে কিছুটা অনাড়ম্বর ভাবেই আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ‘মহারাষ্ট্র নিবাস’ হলে গণেশপুজোর একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মমতা। তাঁর মনোনয়ন ঘিরে এ দিন সকাল থেকেই কালীঘাটে দলের কর্মীদের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। শুভকামনায় কালীঘাটে পুজো এবং যজ্ঞের আয়োজনও করা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে আগে থেকেই আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে ভিড় না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় মমতার সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের স্ত্রী ইসমত হাকিম, নিসপাল সিং রানে।
এ দিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সমাজমাধ্যমে দীর্ঘ পোস্ট করেন তিনি। সেখানে ‘বাংলা বিরোধী’ হিসেবে উল্লেখ করে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় উগ্রপন্থা’য় পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ এনেছেন। মমতা আরও লিখেছেন, ‘বাংলার মনীষীদের নাম বিকৃত করা বা তাঁদের সম্বন্ধে ভুল তথ্য পরিবেশন— বিগত বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি নেতারা বাংলাকে নিরন্তর অপমান করে গেছেন।’ সেখানেই বিজেপির বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করে তৃণমূল নেত্রী লিখেছেন, ‘টিকা প্রদানে বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সাহায্যের প্রশ্নেও কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ কারুর দৃষ্টি এড়ায়নি।’ ভবানীপুরের সঙ্গে তাঁর অতীত রাজনৈতিক সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে সমাজমাধ্যমে তাঁর বক্তব্য, ‘বাম শাসনে স্বৈরাচারী শাসকের রক্তচক্ষুর পরোয়া না করে তাঁরা আমার সাথে বারংবার প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। তাঁদের সবাইকে আমি নত মস্তকে প্রণাম জানাই।’
এ দিনই এই কেন্দ্রে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে প্রিয়ঙ্কা তিবরেওয়ালের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে এন্টালি বিধানসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এই কেন্দ্রে বামফ্রন্টের প্রার্থী সিপিএমের শ্রীজীব বিশ্বাস। তিনি মনোনয়ন দেবেন ১৩ তারিখ।