State news

হাইকোর্টের নির্দেশ না মেনে শিক্ষকদের বঞ্চনার অভিযোগ, বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজিটিএ-র

পশ্চিমবঙ্গের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের যা বেতন স্কেল হওয়া উচিত, বর্তমানে টিজিটি শিক্ষকরা তা থেকে বঞ্চিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৪৮
Share:

কলকাতা হাইকোর্ট।

২০১৯ সালের সদ্য প্রকাশিত রোপায় গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের টিজিটি (ট্রেনড গ্র্যাজুয়েট টিচার) স্কেল না দিয়ে হাইকোর্ট রায়কে অবমাননার অভিযোগ উঠল রাজ্য সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের যা বেতন স্কেল হওয়া উচিত, বর্তমানে টিজিটি শিক্ষকরা তা থেকে বঞ্চিত। এই নিয়ে বিজিটিএ (বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার’স অ্যাসোসিয়েশন)-র পক্ষ থেকে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। গত ২২ জুলাই কলকাতা হাইকোর্ট ম্যান্ডামাস জারি করে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের বেতন বঞ্চনা মিটিয়ে দিতে বলেছিল রাজ্য সরকারকে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত রোপায় তার কোনও প্রভাব পড়েনি। এই নিয়ে ফের বিজিটিএ-র পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রায়কে অবমাননার মামলা করা হয়। গত মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের কেন টিজিটি স্কেল দেওয়া হয়নি তা সরকার পক্ষের আইনজীবীর কাছে জানতে চান বিচারপতি। সরকার পক্ষের আইনজীবী তাঁর সিনিয়রের অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে বিচারপতির কাছে মামলার শুনানির জন্য আরও সময় চান।

সরকার পক্ষের আইনজীবীর এই অবহেলার জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দিতে বলেছেন। ১০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

Advertisement

বিজিটিএ-র আন্দোলন মঞ্চ।

আরও পড়ুন: হিংসায় নেতৃত্ব দিলে নেতা হওয়া যায় না, বললেন সেনাপ্রধান

এই রায় রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলে দিয়েছে বলেই মনে করছে বিজিটিএ। কারণ এর পর, আইন মেনে শিক্ষকদের টিজিটি স্কেল মেনে নেওয়া ছাড়া রাজ্য সরকারের হাতে আর কোনও উপায় নেই বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। সংগঠনের যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ স্বপন কুমার মন্ডল বলেন, “এ বারেও যে রায় আমাদের পক্ষেই যাবে জানতাম। আমি শিক্ষামন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করছি, যেন গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের দাবি মেনে তাঁদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।” দাবি না মানলে বিজিটিএ সংগঠন আরও বড় আন্দোলনের পথে যাবে, হুঁশিয়ারি তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement