অন্য কলেজকে দিশা দেখাক বেথুন: মন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আশপাশের কলেজগুলো যখন গড্ডলিকায় গা ভাসিয়েছে, তখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বেথুন কলেজ। বেথুনের শিক্ষিকা, পড়ুয়ারা যদি নিজেদের পঠনপাঠন, নিয়মশৃঙ্খলা, সংস্কৃতিচর্চার কথা অন্যান্য কলেজে গিয়ে বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাই লাভবান হবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩১
Share:

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।

শুধু নিজে ভাল হলেই চলবে না। মধ্যমানের কলেজগুলোও যাতে লেখাপড়া থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়ে উৎকর্ষে পৌঁছতে পারে সেই দিশা দেখা দেখাতে হবে বেথুন কলেজকে। বুধবার বেথুন কলেজে মেয়েদের কমন রুম, প্রার্থনা কক্ষ, অডিটোরিয়াম, লিফটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে এ কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আশপাশের কলেজগুলো যখন গড্ডলিকায় গা ভাসিয়েছে, তখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বেথুন কলেজ। বেথুনের শিক্ষিকা, পড়ুয়ারা যদি নিজেদের পঠনপাঠন, নিয়মশৃঙ্খলা, সংস্কৃতিচর্চার কথা অন্যান্য কলেজে গিয়ে বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাই লাভবান হবে।’’

গত কয়েক বছরে রাজ্যে অনেক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালানোর মতো প্রয়োজনীয় যোগ্য লোক আছেন কি না, নিজেই সেই প্রশ্ন তোলেন। ‘‘কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নিচু তলার জন্য লোক পাওয়া যায়, কিন্তু উপাচার্য হওয়ার লোক পাওয়া যায় না,’’ মন্ত্রীর গলায় আক্ষেপের সুর।

Advertisement

সব কলেজের পরিবেশ কী ভাবে ভাল করা যায়, তার উপরে জোর দেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর পর্যবেক্ষণ, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনা থেকে শুরু করে শৃঙ্খলা— কোথাও যেন একটা খামতি দেখা যাচ্ছে। ভর্তির সময় ইউনিয়নের ছেলেদের টেবিল-চেয়ার নিয়ে কলেজের বারান্দায় বা বাইরে বসা নিষিদ্ধ। কিন্তু অনেক সময় অনেক কলেজে কিছু ছেলে এ ভাবে টেবিল-চেয়ার নিয়ে বসে থাকেন। দেখেও দেখেন না অধ্যক্ষেরা। পরে গোলমাল বাধলে তখন পুলিশে খবর যায়। ‘‘এটা হওয়া উচিত নয়। প্রথমেই টেবিল নিয়ে বসা আটকাতে হবে। কলেজের পরিবেশ ভাল রাখতে অধ্যক্ষদের এই ব্যাপারে প্রথম থেকেই কড়া হতে হবে,’’ বলেন পার্থবাবু।

পাঠ-পরিবেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানোর কথাও বলেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই সঙ্গে আর্থিক ভাবে দুর্বল পড়ুয়ারাও যাতে উচ্চশিক্ষা পান, সেই বিষয়ে জোর দেন তিনি। অনুষ্ঠানে ছিলেন বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসব চৌধুরী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) দীপক কর। বেথুনের অধ্যক্ষা মমতা রায় বলেন, ‘‘আমাদের কলেজের উৎকর্ষ বজায় রাখার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, গবেষক, শিক্ষাকর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement