কসবার রাজডাঙায় একটি অফিসে অভিযান ইডির। অফিসটি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
বুধবার দুপুরে চার ইডি অফিসার তল্লাশি চালাচ্ছেন রাজডাঙা এলাকার একটি তিনতলা বিল্ডিংয়ে। এখানে ‘ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট’-এর অফিস। ইডির দাবি, এই সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এখানেও পার্থ-অর্পিতার যৌথ মালিকানা আছে বলে দাবি ইডির। উল্লেখ্য, এর আগে হাই কোর্টে ইডির আইনজীবী দাবি করেছিলেন, ধৃত অর্পিতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তাঁদের যৌথ সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতার সংস্থার তথ্য এবং ঠিকানা পাওয়া যায় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় সংস্থার নথি। ‘ইচ্ছে’-র মালিক অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বলে দাবি ইডির। সেই সূত্র ধরে বুধবার ইডি আধিকারিকরা পৌঁছন রাজডাঙা এলাকায়। কিন্তু বাড়ির সামনে যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে তা ভুয়ো বলে অভিযোগ করেন জনৈক রঞ্জিত কর। তাঁর দাবি, তিনি কেব্ল ব্যবসা করেন। তাঁর ঠিকানা লেখা রয়েছে ‘ইচ্ছে’-র অফিসের সামনে! এ নিয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান। ‘ঠিকানা চুরি’ নিয়েও শুরু হয় উত্তেজনা।
কসবা রাজডাঙা এলাকায় একটি অফিসে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ‘ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট’ নামে ওই সংস্থাটি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বলে দাবি ইডির। ওই সংস্থার আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখা হতে পারে বলে খবর।
রঞ্জিত কর নামে কসবার এক স্থানীয় কেব্ল ব্যবসায়ীর দাবি, ৯৫ রাজডাঙা রোড ঠিকানাটি তাঁর। ওই অর্পিতার অফিসটির ঠিকানা ভুয়ো। ভুয়ো ঠিকানায় অফিস করা হয়েছে বলে দাবি রঞ্জিতের।
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার সকাল থেকেই কলকাতার বহু জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে ইডি। ওই সব জায়গার রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট, অফিস রয়েছে বলে দাবি ইডির। সকালে বেলঘরিয়ার একটি আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান ইডির আধিকারিকেরা। একই সঙ্গে কসবার রাজডাঙার একটি বিনোদন সংস্থার অফিসেও যান তাঁরা। অর্পিতা ওই সংস্থার ডিরেক্টর বলে দাবি ইডির।