চিকিৎসকরা সকাল থেকেই পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। নিজস্ব চিত্র
দিল্লির জুনিয়র চিকিৎসক আন্দোলনের সমর্থনে রাজ্যে একাধিক হাসপাতালে বিক্ষোভ ও ধর্নায় শামিল হলেন রেসিডেন্সিয়াল চিকিৎসকরা। কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসকরা সকাল থেকেই পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। পরে তাঁরা ধর্নায়ও বসেন।
এর পর চিত্তরঞ্জন, আরজি কর, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সহ রাজ্যের একাধিক হাসপাতালের রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই কর্মবিরতির ফলে ব্যাহত হয়েছে চিকিৎসা পরিষেবা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। তবে এখনও কারও ছুটি বাতিল করা হয়নি।’’
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও জুনিয়ার চিকিৎসকরা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে দেখান। হাসপাতালের ইন্টার্ন অয়ন বর্মন বলেন, ‘‘দিল্লির প্রতিবাদরত চিকিৎসকদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এ দিন সকালে থেকে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে।’’ চিকিৎসকদের দাবি, এই প্রতিবাদের ফলে জরুরি পরিষেবার কাজে কোন ব্যাঘাত ঘটেনি।
চিকিৎসকদের দাবি, এই প্রতিবাদের ফলে জরুরি পরিষেবার কাজে কোন ব্যাঘাত ঘটেনি। নিজস্ব চিত্র
এনআরএস শিশু বিভাগের চিকিৎসক আবু ওবায়েদ জানিয়েছেন, ‘‘হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাব সত্ত্বেও আমরা কোভিডের সময়ও কাজ চালিয়েছি। কিন্তু এই অভাব পূরণ করতে অবিলম্বে নিট পরীক্ষার কাউন্সিলিং করতে হবে।’’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ শাখাও হাসপাতাল চত্ত্বের বিক্ষোভ দেখায়।
নিট পরীক্ষার কাউন্সিলিং-এর দাবিতে সোমবার দিল্লিতে প্রতিবাদ মিছিল করেন চিকিৎসকরা। এই মিছিলের উপর হামলা চালিয়েছে পুলিশ, অভিযোগে ফের রাস্তায় নামে রেসিডেন্সিয়াল চিকিৎসকরা। প্রায় চার হাজার চিকিৎসক সোমবার মধ্যরাতে সরোজিনী থানা ঘেরাও করেন। তারা এখনও ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন। দিল্লির চিকিৎসকদের দাবির সমর্থনে বাংলাতেও বিক্ষোভ দেখালেন রেসিডেন্সিয়াল চিকিৎসকরা।