ফাইল চিত্র।
কয়লাকাণ্ডে অডিও টেপ ফাঁস করে রবিবারই মুখ্যমন্ত্রীর সাংসদ ভাইপোর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ বার সেই কয়লাকাণ্ডেই জোড়া টুইট করে গেরুয়া শিবিরকে পাল্টা জবাব দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে প্রথম টুইট করে অভিষেক বলেন, ‘‘কয়লা ও সেই সংক্রান্ত যাবতীয় সম্পদ কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাভুক্ত, তা কেন্দ্রীয় সরকারই পাহারা দেয়। বিজেপি নেতারা যদি মনে করেন, বেআইনী পাচার থেকে টাকা পাওয়া গিয়েছে, তা হলে যাঁদের উপর জাতীয় সম্পত্তি পাহারার দায়িত্ব রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে কেন্দ্রকে কে বাধা দিয়েছে?’’ পরে আরও একটি টুইট করে তিনি বলেছেন, ‘‘এটা হাস্যকর যে, কয়লা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকরা তাঁদের বসেদের (পড়ুন মোদী-শাহ) কথা না শুনে তৃণমূল নেতাদের কথা শুনছেন। কাদের বোকা বানাচ্ছে বিজেপি?’’ ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের এমন মন্তব্যের পর রাজনীতির কারবারিদের ব্যাখ্যা, পাল্টা চাল দিয়ে কয়লা পাচার কাণ্ডে বিজেপি-কেই অভিযুক্ত করতে চেয়েছেন অভিষেক। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার তদন্ত ধরে ইতিমধ্যে অভিষেক পত্নী রুজিরা নারুলা, শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর সহ তাঁর স্বামী ও শ্বশুরকে জেরা করেছে সিবিআই। ভোটের আগে সিবিআই তদন্তের গতি বাড়িয়ে অভিষেকের বাসভবন শান্তিনিকেতন পর্যন্ত পৌঁছলেও এত দিন মৌনই ছিলেন তিনি। কিন্তু রবিবার প্রথমে শুভেন্দু সাংবাদিক সম্মেলন করে ও পরে বিজেপি-র পশ্চিমবঙ্গের সহ পর্যবক্ষেক অমিত মালব্য টুইট করে কয়লকাণ্ডে অভিষেকের ৯০০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ জানালে, পাল্টা জবাব দেন অভিষেক। তৃণমূলের এক রাজ্যস্তরের নেতার কথায়, শুভেন্দু দলবদলের পর নানা ভাবে অভিষেককে টার্গেট করেছন। রবিবার সেই অভিযোগের মাত্রা ছাড়িয়েছে বলেই মত দলের। তাই এমন অভিযোগের জবাবে যে তাঁকে আর ছেড়ে কথা বলা হবে না, তাও টুইট মারফত বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন অভিষেক। তৃণমূল ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য তথা দমদমের তৃণমূল প্রার্থী ব্রাত্য বসু আবার কয়লা পাচার কাণ্ডে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ এনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কয়লামন্ত্রী পীযূষ গয়ালের ইস্তফা দাবি করেছেন। সঙ্গে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানিয়ে দেন।