ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে কোনও প্রার্থী সংশ্লিষ্ট দফতরে মনোনয়ন পেশে বাধা পেয়ে থাকলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ই-মেল মারফৎ মনোনয়নপত্র জমা করেছেন কি না, তার প্রমাণ চায় কলকাতা হাইকোর্ট। ই-মেলে মনোনয়ন পেশ বৈধ বলে গণ্য করার দাবি জানিয়ে মামলা করেছে সিপিএম। মনোনয়ন জমার শেষ সময়সীমা, ২৩ এপ্রিল বেলা তিনটের মধ্যে কোন কোন প্রার্থী ই-মেলে মনোনয়ন পেশ করেছেন, তথ্যপ্রমাণ-সহ তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানোর জন্য বুধবার সিপিএমের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সোমবার এই মামলার ফের শুনানি হবে।
এ দিনের শুনানিতে সিপিএমের আইনজীবী শামিম আহমেদ অভিযোগ করেন, দুষ্কৃতীদের বাধায় অনেক জায়গায় প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। তা শুনে বিচারপতি সমাদ্দারের মন্তব্য, ‘‘দুষ্কৃতীরা বাধা দিয়েছে না সাধুসন্তরা বাধা দিয়েছেন, তা আদালত জানবে কী করে? আদালত প্রমাণ চায়।’’ ডিভিশন বেঞ্চ ওই আইনজীবীর কাছে আরও জানতে চায়, এমন কত জন প্রার্থী রয়েছেন, যাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আইনজীবী জানান, হাজারখানেক। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বাধা পাওয়ার পরে মনোনয়ন পেশের সময়সীমার মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় প্রার্থী ই-মেল করেছেন, এমন তথ্যপ্রমাণ থাকতে হবে।
আইনজীবী তথ্যপ্রমাণ পেশের জন্য সময় চাইলে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বেলা দু’টোর পরে তথ্যপ্রমাণ নিয়ে আসতে। দু’টোর পরে আদালতে কয়েক জন প্রার্থীর ই-মেলে মনোনয়ন পেশের নমুনা পেশ করেন ওই আইনজীবী। এ দিন সন্ধ্যার মধ্যে ওই সব নথি কমিশনের আইনজীবীর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
ডিভিশন বেঞ্চ প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবারও ফের শুনানি হবে। কিন্তু কমিশনের আইনজীবী শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মামলার শুনানি বাকি রয়েছে। তার মধ্যে বিচারপতি সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ কোনও রায় দিলে তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবে। এর পরেই মামলার শুনানি মুলতুবি রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।