সিঙ্গুরে প্রার্থী হবই,দাবি তাপসীর বাবার

মনোরঞ্জনকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয় বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। বৈঠক শেষে ধনেখালির বিধায়ক তথা মন্ত্রী অসীমা পাত্রের দাবি, ‘‘মনোরঞ্জনবাবু মনোনয়ন প্রত্যাহারে রাজি। বোঝাপড়ায় দলে কোনও সমস্যা নেই।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

তাপসী মালিকের বাবা মনোরঞ্জন মালিক সিঙ্গুর থেকে জেলা পরিষদের একটি আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর দলের অন্তর্কলহ সামনে এসেছিল। সোমবারেও তা মিটল না। এ দিন ধনেখালিতে দলের জেলা নেতৃত্ব প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে বৈঠকে বসেন। মনোরঞ্জনকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয় বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। বৈঠক শেষে ধনেখালির বিধায়ক তথা মন্ত্রী অসীমা পাত্রের দাবি, ‘‘মনোরঞ্জনবাবু মনোনয়ন প্রত্যাহারে রাজি। বোঝাপড়ায় দলে কোনও সমস্যা নেই।’’ কিন্তু মনোরঞ্জনের মুখে উল্টো সুর! তাঁর দাবি, ‘‘বৈঠকে আমি ছিলাম। মনোনয়ন তুলতে আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি পদের ইচ্ছা সকলের থাকে। আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করব না। মাস্টারমশাই (বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য) আমার সঙ্গে আছেন।’’

Advertisement

সিঙ্গুরের ওই আসনে গতবারের জয়ী প্রার্থী পূর্ণিমা ঘোষ এ বারও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তার পরেও মনোরঞ্জন মনোনয়ন জমা দেন। এতে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সিঙ্গুরের আর এক তৃণমূল নেতা বেচারাম মান্নার কাজিয়া প্রকাশ্যে আসে। দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে বার্তা দিলেও তা ধোপে টেকেনি। মনোরঞ্জন বলেন, ‘‘আমার উপর জেলা নেতারা যদি জোর করে কিছু চাপিয়ে দেন, আমাকেও অন্য কিছু ভাবতে হবে।’’

কতদিন এই স্নায়ুযুদ্ধ জারি থাকবে, এটাই এখন সিঙ্গুরের সাধারণ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের প্রশ্ন। এ দিন রাতে জেলার এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘দলে কেউই নিয়ম-শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে নন। অযথা জলঘোলা মেনে নেবে না দল।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement