ভোট দেওয়ার অপেক্ষায়। নিজস্ব চিত্র।
বিক্ষিপ্ত গোলমাল, দু’একটি ক্ষেত্রে ছাপ্পা, বুথ দখলের অভিযোগ ছাড়া বুধবার ৫৭৩টি বুথে পুনর্নির্বাচন একরকম শান্তিপূর্ণই ছিল। এ দিন পুলিশি ব্যবস্থা ছিল নজরকাড়া।
এ দিনও অবশ্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিংহ। তবে এ দিনের পুলিশি ব্যবস্থায় কমিশন মোটের উপর ‘সন্তুষ্ট’ বলেই সূত্রের দাবি। কমিশন সূত্রের খবর, এ দিন পুনর্নির্বাচন নিয়ে ছ’-সাতটি অভিযোগ এসেছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ৫৭২টি বুথে ভোট পড়েছে গড়ে ৬৯.০৩%।
ভোট শুরুর পরেই মালদহের রতুয়ায় বাখরা বুথ দখলে নেয় বন্দুকবাজেরা। রায়গঞ্জে ভোটকর্মীর রহস্যমৃত্যুতে উত্তাল হয় পরিস্থিতি। পূর্ব মেদিনীপুরের বামুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাওয়াতে ছিল পুনর্নির্বাচন। ১১০ এবং ৭০ নম্বর বুথে সকাল ৮টার পরে কয়েকশো দুষ্কৃতী মুখে গামছা বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হাজির হয়। তারা অবাধে ছাপ্পা দেয় বলে অভিযোগ বিরোধীদের। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যা অস্বীকার করেছে শাসক দল।
সোমবারের ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতের নির্দেশখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে পুনর্নির্বাচন ছিল এ দিন। গ্রাম ছিল সুনসান। হাওড়ায় অধিকাংশ বুথেই বিরোধী এজেন্টদের দেখা মেলেনি। সকালে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ঝামেলা বাধে উলুবেড়িয়ার তপনা পঞ্চায়েতের গুদারপুর প্রাথমিক স্কুলে। দু’পক্ষের কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এ দিন বীরভূমের মহম্মদবাজারের চারটি এবং ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির দু’টি আসনে পুনর্নির্বাচন হয়। ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। পশ্চিম বর্ধমানের তিনটি বুথে প্রায় ৬৯%, বাঁকুড়ার ৫টি বুথে ৭৪.১৬%, পুরুলিয়ার ৫টি বুথে প্রায় ৬৫% ভোট পড়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
মুর্শিদাবাদে সুতি ১ ব্লকের নয়া বাহাদুরপুর প্রাথমিক স্কুলের চারটি বুথেই ছাপ্পা ভোট, কান্দির পাঁচটি বুথে বিরোধী এজেন্টদের বসতে না দেওয়া এবং ছাপ্পার অভিযোগ উঠেছে।