প্রতিমা বিসর্জনের সময় নির্দিষ্ট করা ছাড়াও একাধিক নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য় সরকার। —ফাইল চিত্র।
আসন্ন কালীপুজোর প্রতিমা বিসর্জনের সময়সীমা বেঁধে দিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার কালীপুজোর পরেই ১৩ অক্টোবর জগদ্ধাত্রী পুজোর নির্ঘণ্ট। সে পুজোরও প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পুজোর সময় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজ্য জুড়েই কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনকে। শনিবার এ ধরনের একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর।
শনিবারের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আগামী ৫ থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে কালীপুজোর প্রতিমা বিসর্জন করা যাবে। জগদ্ধাত্রী পুজোর ক্ষেত্রে ১৪ ও ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিমা নিরঞ্জন শেষ করতে হবে। আলোর উৎসবে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি বিভেদকামী শক্তি-সহ জঙ্গিগোষ্ঠীর ঝুঁকি এড়াতে কড়া নজরদারির বন্দোবস্ত করার কথাও বলা হয়েছে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে। নিরাপত্তার প্রয়োজনে বড় বড় পুজো মণ্ডপে সিসিটিভি-র নজরদারিও চালানো যেতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর।
—নিজস্ব চিত্র।
আসন্ন কালীপুজোয় বাজি বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, বেরিয়াম সল্টের ব্যবহার হয়, এমন বাজি তৈরি, বিক্রি বা পোড়ানো চলবে না। আদালতের এ সমস্ত নির্দেশই যাতে মেনে চলা হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
স্পর্শকাতর এলাকায় প্রয়োজনে সমাজবিরোধী বলে পরিচিতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে তারা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখতে স্থানীয় স্তরে কমিটি গঠন করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কথাও জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারেরা ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করতে পারেন বলে পরামর্শ রাজ্য সরকারের। সর্বোপরি উৎসবের দিনগুলিতে যাতে সংক্রমণ বৃদ্ধি না হয়, সে জন্য কোভিডবিধি মেনে চলার দিতে গুরুত্ব দেওয়ার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে সরকার।