State News

নতুন বেতনের মাসে ছ’হাজার কোটি ঋণ

অর্থ কর্তারা জানাচ্ছেন, পঞ্চম বেতন কমিশন চালু হয়েছিল ২০০৮-০৯ সালে।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

আজকালের মধ্যে নতুন হারে বেতন পাবেন রাজ্যের প্রায় ১০ লক্ষ সরকারি ও সরকারপোষিত কর্মচারী। আর সেই বেতনক্রম কার্যকর করতে গিয়ে নতুন বছরের প্রথম মাসেই বাজার থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা ধার করতে হল নবান্নকে। পাশাপাশি, আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে নতুন প্রকল্পের অনুমোদন। রাজকোষে যতটা সম্ভব টাকা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন অর্থ দফতরের কর্তারা।

Advertisement

নবান্ন সূত্র জানাচ্ছে, এ মাসের ১০, ১৪ এবং ২৮ জানুয়ারি তিন দফায় বাজার থেকে ২ হাজার কোটি করে মোট ৬ হাজার কোটি টাকা ধার করতে হয়েছে। অতীতে কবে এক মাসে এত টাকা ধার করতে হয়েছে তা মনে করতে পারছেন না অর্থ দফতরের কর্তারা। নবান্নের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, ‘‘চলতি অর্থবর্ষের শেষ দু’মাসে ধার করেই বেতন মেটাতে হবে। যে ভাবে আর্থিক মন্দা জাঁকিয়ে বসছে, তাতে আগামী অর্থবর্ষে কী অবস্থা দাঁড়াবে তা-ও বোঝা মুশকিল।’’ তা হলে উপায়? অর্থ কর্তাদের মতে, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাজেট নিয়ন্ত্রণ আইনের বাইরে গিয়ে বাজার থেকে আরও ধার করার অনুমোদন চাওয়া হচ্ছে। না হলে পরিকল্পনা খাতের খরচে টান দিতে হবে। তাতে রাজ্যের উন্নয়নের উপর আঘাত আসতে বাধ্য।’’

অর্থ কর্তারা জানাচ্ছেন, পঞ্চম বেতন কমিশন চালু হয়েছিল ২০০৮-০৯ সালে। তখন থেকেই লাগামহীন বাজারি ঋণ নেওয়া শুরু। তার আগে পর্যন্ত স্বল্প সঞ্চয় ও কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকেই অধিকাংশ ঋণ নেওয়া হত।

Advertisement

২০০৮-০৯ সাল থেকে যে ঋণ নেওয়া শুরু হয়েছিল, তার আসল শোধ করা শুরু হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে। তার উপরে চেপেছে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের বোঝা। ফলে সরকারের এখন দিশেহারা অবস্থা। ২০০৮-এ যেখানে রাজ্যের মোট দেনা ছিল ১ লক্ষ ৩২ হাজার কোটি টাকা, ২০১৯-এ বেড়ে হয়েছে ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ঘরবন্দি নবদ্বীপের গবেষক

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement