ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপরে পুলিশি আক্রমণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশবাহিনীর আধিকারিকদের ‘সতর্ক’ করে দিল রাজ্য প্রশাসন। শহরের শান্তিশৃঙ্খলায় বাহিনীকে সক্রিয় হতে বলেছেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। কিন্তু শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থামাতে পুলিশ যাতে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চত্বরে না-ঢোকে, সেটা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া শিক্ষাঙ্গনে পুলিশের ঢোকা নিষেধ। সেটাই আবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ উপাচার্যের অনুমতি ছাড়াই পুলিশ জামিয়া মিলিয়ায় আন্দোলন দমন করেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানাচ্ছে, জামিয়ায় পুলিশি পীড়নের প্রতিবাদে রবিবার রাতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। রাতে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ইএম বাইপাস অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: স্বজন সেই অসমে, চিন্তা কাটছে না
লালবাজারের খবর, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যে-কোনও প্রতিবাদ মিছিলকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে জনজীবন যাতে ব্যাহত না-হয়, নিশ্চিত করতে হবে সেটাও। অশান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কোনও গুজব যাতে না-ছড়ায়, তা-ও দেখতে হবে। থানার ওসি-দের নিজের নিজের এলাকার নাগরিক সমাজের সঙ্গে দৃঢ় যোগাযোগ রাখতে বলেছেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। সব পাড়ায় নিবিড় টহলদারির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলাজনিত যে-কোনও ঘটনায় নিয়মিত খবর পাঠাতে হবে লালবাজারের মূল কন্ট্রোল রুমে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে কলকাতা পুলিশের কর্মীদের ছুটিও বাতিল করেছে লালবাজার।