—ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা বিভিন্ন বাজারে সফর করেছেন। মজুতদারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সব মিলিয়ে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছিল। কিন্তু তার পরেও কোথাও তা ১২০, কোথাও বা ১৩০ টাকায় বিকোচ্ছে। সামান্য পতনের পরে পেঁয়াজের দাম এখনও স্বাভাবিক না-হওয়ায় ক্রেতারা চিন্তিত।
গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ১৪০ টাকা থেকে নেমেছিল ১২০ টাকায়। তার পরে আর কমেনি। পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও শীতের আনাজের দাম তুলনায় কমেছে।
রবিবার মানিকতলা, উল্টোডাঙা, দমদম, শিয়ালদহ, কলেজ স্ট্রিট থেকে শুরু করে ল্যান্সডাউন বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা কেজি দরে। গড়িয়াহাট, লেক মার্কেটে এ দিন ভালে মানের পেঁয়াজ ১৩০ টাকায় বিকিয়েছে। দু’সপ্তাহ পার হলেও পেঁয়াজের দাম তেমন ভাবে না-কমায় সাধারণ মানুষের মাথায় হাত। রাজ্য সরকারে টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্য কমল দে বলেন, ‘‘দিন চারেক আগে নাশিক থেকে আট লরি নতুন পেঁয়াজ রাজ্যে ঢুকেছিল। তার পর থেকে রোজ গড়ে ৩-৪ লরি পেঁয়াজ আসছে। রাজ্যে রোজ প্রায় ৬৫ হাজার টন পেঁয়াজ দরকার। কিন্তু এখন তার অর্ধেকও ঢুকছে না। জোগানের তুলনায় চাহিদা কম হওয়ায় কমছে না দাম।’’ কমলবাবু জানাচ্ছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজ্য জুড়ে যে-অশান্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, তাতে মহারাষ্ট্র থেকে গাড়ি আসতে চাইছে না। তাই পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখাটা তাঁদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই রয়ে গেল।
আরও পড়ুন: উত্তুরে হাওয়ায় শীতের বার্তা
শনিবার রাতে শিয়ালদহ কোলে মার্কেটের এক ব্যবসায়ী আফগানিস্তান থেকে এক লরি পেঁয়াজ নিয়ে আসেন। কমলবাবু বলেন, ‘‘আফগানিস্তান থেকে আসা পেঁয়াজের আকার বড় হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। ৪-৫টি পেঁয়াজেই এক কেজি! এত বড় পেঁয়াজ কেউ কিনতে চাইছেন না।’’
পেঁয়াজের অগ্নিমূল্যের মধ্যে শীতের আনাজ দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কমে যাওয়ায় ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তিতে। এ দিন কলকাতার বিভিন্ন বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহ দুয়েক আগে যে-ফুলকপির দাম ছিল ৪০ টাকা, এখন তার দাম কুড়ি। বাঁধাকপিরও দাম (৩০-৩৫ টাকা কেজি) কমেছে। টোম্যাটো ৪০, শিম ৪০-৫০, মটরশুঁটি ৫০-৬০, পালংশাক ৩০, পেঁয়াজকলি ৮০, ক্যাপসিকাম ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন বাজারে।