নারদ স্টিং অপারেশন নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই নারদ স্টিং অপারেশন নিয়ে তদন্ত করছে। রাজ্যের শাসক দলের কিছু নেতা ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সেই তদন্তের মধ্যেই আবার একটি স্টিং অপারেশনের প্রস্তুতির অভিযোগ উঠল হাইকোর্টে। প্রতারণার একটি মামলায় আগাম জামিনের আর্জির শুনানিতে শুক্রবার এই অভিযোগ তোলে রাজ্য সরকার। অভিযুক্তের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, প্রতারণার অভিযোগ হলেও ঘটনার আরও শাখাপ্রশাখা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, ২ জানুয়ারি রাজীব রায় নামে একটি রাজনৈতিক দলের নেতা নয়ডার বাসিন্দা রেয়ানস প্রতাপ সিংহ এবং অন্য কয়েক জনের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় দেড় লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। ওই নেতার অভিযোগ, রেয়ানস রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় রোবট সরবরাহের জন্য তাঁর সাহায্য চান। রেয়ানসের বক্তব্য ছিল, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজীবের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। তিনি মধ্যস্থতা করলে রোবটের বরাত পেতে পারে রেয়ানসদের সংস্থা। বিশেষ কারণে নয়ডার ওই বাসিন্দা কয়েক মাস আগে রাজীবের কাছে দেড় লক্ষ টাকা চান। রাজীব টাকা দিয়ে যথাসময়ে তা ফেরত না-পাওয়ায় প্রতারণার মামলা করেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ ইমরান নামে রেয়ানসের এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, রেয়ানসদের সংস্থা ভুয়ো বলে জেরায় জানান ইমরান। সংস্থার আধিকারিকদের আধার কার্ডও জাল। ওই যুবক আরও জানান, রেয়ানসদের উদ্দেশ্য ছিল, উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকদের নানা রকম উপঢৌকন বা নগদ টাকা দিয়ে ‘স্টিং অপারেশন’ চালিয়ে পরবর্তী কালে তাঁদের ‘ব্ল্যাকমেল’ করে মোটা টাকা আদায় করবে। প্রয়োজনে স্টিং অপারেশনের ছবি বিকৃত করে অসৎ কাজে ব্যবহার করবে। রেয়ানসরা কয়েক জন আধিকারিককে উপহার দেওয়ারও চেষ্টা করে বলে তদন্তকারী অফিসারদের জেরায় জানান ইমরান।
আরও পড়ুন: স্তন ক্যানসারে লজ্জা কাটাতে কন্যাশ্রীর সাহায্য
এ দিন আগাম জামিনের শুনানিতে রেয়ানসের আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এটি সাধারণ একটি প্রতারণার মামলা। অভিযুক্ত আগাম জামিন পেতে পারেন।
সরকারি কৌঁসুলি শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় ও রুদ্রদীপ্ত নন্দী জানান, তদন্ত সবে শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে স্টিং অপারেশনের প্রস্তুতির প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্তকে আগাম জামিন দিলে তদন্ত ব্যাহত হবে।