প্রায় ১৯.৮৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রীর নম্বর বৃদ্ধি হওয়ায় শিক্ষকদের খাতা দেখার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফাইল চিত্র
খাতা দেখায় গাফিলতির জেরে, শোকজ হতে পারেন পরীক্ষকরা। পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউ) পিপিআর বা রিভিউ ও (পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি) পিপিই বা স্ক্রুটিনির ফলাফল। এই ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা গিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষায় খাতা দেখার ক্ষেত্রে বিস্তর গাফিলতি করেছেন শিক্ষকরা। মাধ্যমিকের রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফলাফলে যেখানে মাত্র তিন শতাংশ ছাত্রছাত্রীর নম্বর বেড়েছে, সেখানে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রায় ২০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীর নম্বর বৃদ্ধি পেয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতার রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, স্ক্রুটিনিতে ৮,৩৬১টি এবং রিভিউয়ে ৮৫,২২৭টি আবেদন জমা পড়েছিল। মূল্যায়ন হয়েছে ১৮,৫৭৬ জনের। তাঁদের নম্বরের বড়সড় পরিবর্তন ধরা পড়েছে সংসদের চোখে। যা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় সর্বাধিক। প্রায় ১৯.৮৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রীর নম্বর বৃদ্ধি হওয়ায় পরীক্ষকদের খাতা দেখার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
একটি পত্রে তো ৫৮ নম্বর বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ নম্বর বেড়েছিল ৫২। এক পরীক্ষার্থী একটি বিষয়ে পেয়েছিলেন মাত্র ছয় নম্বর। সেই নম্বর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০। আবার এর মধ্যে দেড় হাজার উত্তরপত্রের মূল্যায়ন এখনও বাকি রয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ সংসদ কর্তারা। তাই খাতা দেখায় গাফিলতির অভিযোগে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে সংসদ। তাঁদের শোকজ করে জানতে চাওয়া হবে কেন তাঁদের ক্ষেত্রে খাতা দেখায় এমন সমস্যা হল। তাই স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের ফলপ্রকাশের পরেই সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে কোন পদ্ধতিতে শিক্ষকদের চিহ্নিত করে শোকজ করা হবে, সেই পদ্ধতি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, সংসদ জেনেছে, খাতা দেখার ক্ষেত্রে বেশ কিছু শিক্ষক নম্বর যোগ করতে ভুল করেছিলেন। তা ছাড়া খাতা দেখার ক্ষেত্রে বেশ কিছু জায়গায় নম্বর দিতেও শিক্ষকরা ভুল করেছিলেন। তাই, এই ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তাই কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চাইছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।