সাগরে সূচনা প্রদেশ কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র। নিজস্ব চিত্র।
দলের ১৩৮তম প্রতিষ্ঠা দিবসে বাংলায় ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করল কংগ্রেস। সাগর থেকে বুধবার দলীয় পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি ওই পদযাত্রার সূচনা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যে এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক এ চেল্লাকুমারও। তবে ‘ভারত জোড়ো’য় বেরোলেও কংগ্রেসের ফাটল কতটা জোড়া লাগবে, তার ইঙ্গিত অন্তত প্রথম দিনের পদযাত্রায় মেলেনি!
মিছিল করে গঙ্গাসাগরের সমুদ্রতটে নেমে জল নিয়ে এবং পরে কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দিয়ে এ দিন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা পদযাত্রায় শামিল হন। তবে প্রথম দিনে অধীর-চেল্লাকুমার, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান— এই শীর্ষ নেতাদের এক ফ্রেমে দেখা যায়নি। মান্নানেরা এ দিনই ফিরে এসেছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অবশ্য রয়ে গিয়েছেন দ্বিতীয় দিনে হাঁটবেন বলে। প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘রাজ্য জুড়ে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু হল। কিন্তু ‘কংগ্রেস জোড়ো’ আগে দরকার! প্রদেশ স্তরের তিন শীর্ষ নেতা নিজেদের মতো করে পদযাত্রায় এলেন, শামিল হলেন। দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে এ ভাবে কী বার্তা যায়?’’ প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো, কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক, সুজয় ঘটক, প্রদেশ কংগ্রেসের অমিতাভ চক্রবর্তী, শুভঙ্কর সরকার, সুব্রতা দত্ত, মায়া ঘোষ, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, কৌস্তুভ বাগচী, তপন আগরওয়াল-সহ প্রায় সব নেতা-নেত্রীই পদযাত্রার সূচনায় সাগরে ছিলেন।
অধীরবাবু অবশ্য বলেছেন, যাত্রার শুরুতে উৎসাহ-উদ্দীপনা ভাল ছিল। এলাকার অনেক মানুষ সমবেত হয়ে তাঁদের অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। সর্বভারতীয় স্তরে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র প্রসঙ্গ টেনে অধীরবাবুর বক্তব্য, ‘‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করে রাহুল গান্ধীর মূল স্লোগান বিজেপির বিরুদ্ধে। কিন্তু যাত্রাপথে বিভিন্ন প্রদেশের মানুষের দুঃখ, যন্ত্রণাও শুনছেন তিনি। তুলে ধরছেন নিজের ভাষণে। আর বাংলায় শুধু বিজেপির বিরুদ্ধে নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’ স্বৈরতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বিজেপি ও তৃণমূল বাদে অন্য সব শক্তি ও ব্যক্তিকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রায় ৮০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে পদযাত্রা শেষ হবে আগামী ২৩ জানুয়ারি কার্সিয়াঙে।