তিন দিনের সফরে বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ফাইল ছবি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের আগে ফের নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ প্রসঙ্গ তুলল রাজ্য বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এ নিয়ে দলের একাংশের মধ্যে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে তা সামাল দিতেই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য শুক্রবার বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।’’ মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই দু’দিনের সফরে রাজ্যে আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে নাগরিকত্ব বিল পাশ করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার, তবে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধি এখনও তৈরি করেনি। এই অবস্থায় বিজেপির অন্দরেও প্রশ্ন উঠেছে, দল ও সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে। এই অবস্থায় শাহের সফরের আগে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের মুখে সিএএ প্রসঙ্গ রাজনৈতিক মহলের নজরে এসেছে।
তৃণমূল অবশ্য এর পিছনে বিজেপির অস্থিরতা তৈরির ইচ্ছাই দেখছে। দলের মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, ‘‘রাজ্যে নির্বাচিত সরকার রয়েছে। তারা এই কালা আইনের বিরোধী। কার্যকর করতে পারবে না জেনেও সমাজে অস্থিরতা জিইয়ে রাখার যে চেষ্টা বিজেপি করছে, সে সম্পর্কে রাজ্যবাসী অবগত।’’
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সিএএ-এর প্রতিশ্রুতিতেই মতুয়া ও উদ্বাস্তু অধ্যুষিত অঞ্চলে বিজেপি একাধিক আসন জিতেছে বলে মানেন দলের নেতারাও। আইন কার্যকর না হওয়ায় বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং মতুয়া অধ্যুষিত এলাকা থেকে নির্বাচিত একাধিক বিধায়ক সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের ‘টালবাহানা’য় অসন্তুষ্ট। এই প্রেক্ষাপটে শমীক এ দিন বলেন, ‘‘এ তো লুকোনো কিছু নয়। ভারতীয় মুসলমান এবং বাংলাদেশ থেকে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়া আমাদের ঘোষিত কর্মসূচি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তা কার্যকর করতে বলা হবে।’’
শমীক অবশ্য ক্ষোভ সামাল দেওয়ার কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, ৩৭০ ধারা বিলোপের মতো নাগরিকত্ব আইনও আমাদের প্রথম দিনের প্রতিশ্রুতি। বিজেপি ঘোষিত এই অবস্থান থেকে কখনওই সরে আসেনি। আমরা চাই তা দ্রুত কার্যকর হোক।’’