প্রতীকী ছবি।
এ রাজ্যে কোভিডের চিকিৎসায় প্লাজ়মা থেরাপি প্রয়োগের গবেষণা আরও এক ধাপ এগোল বৃহস্পতিবার। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এ দিন বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করোনা আক্রান্ত এক নার্স এবং এক জন স্বাস্থ্যকর্মীর দেহে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের প্লাজ়মা পরীক্ষামূলক ভাবে দেওয়া হয়েছে।
প্রতি দিন রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে প্লাজ়মা থেরাপির গবেষণার অগ্রগতি সুখবর বলে মনে করছে রাজ্যের চিকিৎসক মহল। এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের করোনা বুলেটিন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪০ জন। মৃত আরও ১০। এ দিনের পরে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৭৬৮ জন। রাজ্যে করোনা রোগী মোট মৃতের সংখ্যা হল ৪৪২।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রের খবর, কনভালসেন্ট প্লাজ়মা থেরাপি সংক্রান্ত গবেষণা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। রাজ্যের তৃতীয় করোনা আক্রান্তের পাশাপাশি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পূর্ত বিভাগের কর্মী-সহ অনেকেই কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিআইএসআর) এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ এই গবেষণায় সাড়া দিয়ে প্লাজ়মা দান করেছেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইমিউনো হেমাটোলজি অ্যান্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগে করোনা-মুক্তদের প্লাজ়মা সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে আইডি হাসপাতালে করোনা রোগীদের সেই প্লাজ়মা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গড়িয়ার বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নর নার্সের কোভিড নিউমোনিয়ার পাশাপাশি সেপসিস এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। সোনারপুরের বাসিন্দা ৩৯ বছরের স্বাস্থ্যকর্মীর কোভিড নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী। আইডি-র ডিন অব অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্স আশিস মান্না জানান, তাঁদের আজ, শুক্রবার দ্বিতীয় পর্বে প্লাজ়মা দেওয়া হবে। এর পরে রোগীদের শরীরে প্রভাব সংক্রান্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করবেন মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান বিশ্বনাথ শর্মা সরকার, সংক্রমক রোগের চিকিৎসক যোগীরাজ রায় এবং বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ শেখররঞ্জন পাল।
আরও পড়ুন: উদ্বেগ বাড়িয়ে কোভিডের পাশাপাশি ডেঙ্গি হানা রাজ্যে
এ দিকে আইডি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত দুই চিকিৎসক ভর্তি হয়েছেন বলে খবর। ওই দু’জনের মধ্যে এক জন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের ইউরোলজি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার এবং আর এক জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রীরোগ বিভাগের পিজিটি। এনআরএস সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে ইউরোলজি বিভাগের এক নার্সের দেহে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছিল। তাই চিকিৎসকের আক্রান্তের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। এই প্রথম এনআরএসের কোনও চিকিৎসক আক্রান্ত হলেন। আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭২ জন করোনা রোগীর মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালের দু’জন নার্সও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শালবনি হাসপাতালের দায়িত্ব ছাড়ল জিন্দলরা