পুজোর আগেই কেব্ল অপরেটারদের সমস্যা নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর আগেই কেব্ল অপারেটরদের সমস্যা নিয়ে বৈঠকে বসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্রড ব্যান্ড অ্যান্ড কেব্ল টিভি অপারেটর্স (এবিসিও)। সম্প্রতি এবিসিও-র দ্বাদশ বার্ষিক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁকেই কেব্ল অপারেটরদের এই সংগঠনের তরফে একাধিক সমস্যার কথা জানানো হয়। বার্ষিক অনুষ্ঠান থেকেই মেয়র ফোনে মুখ্যমন্ত্রীকে সে কথা জানান।
ওই অনুষ্ঠানেই ফোনে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন মমতা। তিনি বলেন ‘‘আমাদের ভবিষ্যৎ স্কিম আছে। যাতে সরকার ৫ লক্ষ টাকা গ্রান্ট দেয়। ওই টাকা নিয়ে আপনারা গ্রামেগঞ্জে ব্যবসা করতে পারবেন। নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন। আপনাদের যে কোনও বিপদে-আপদে আমি ছিলাম, আছি, থাকব।” সঙ্গে জানিয়ে দেন, পুজোর আগেই তিনি কেব্ল অপারেটরদের সমস্যাগুলির সমাধান করতে বৈঠকে বসবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এমন আশ্বাসের পর কেব্ল অপারেটরেরা এখন বৈঠকের দিনক্ষণ ঘোষণার অপেক্ষায়।
সংগঠনের সভাপতি প্রদীপ সোম বলেন, ‘‘আমরা ’৯০ দশক থেকে নিজেদের উদ্যোগেই কেব্ল টিভির ব্যবসা শুরু করেছিলাম। কিন্তু এখন বহুজাতিক সংস্থাগুলি এই ব্যবসায় ঢুকে পড়ায় আমরা অস্বস্তিতের সঙ্কট বোধ করছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের এই ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান যুক্ত। তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, এ বিষয়ে বিকল্প কোনও পথ ভেবে আমাদের ব্যবসায়িক পরিস্থিতির উন্নতি করতে।’’
রাজ্য সরকারের তরফে কেব্ল টিভি সংক্রান্ত বিষয়টির দেখভাল করেন মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ। তিনিও কেব্ল অপারেটরদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বলেছেন, “এখন এমএসও, কেব্ল অপারেটারদের ব্যবসা চলছে না। বড় টেলিকম সংস্থাগুলি এখন এই ব্যবসায় এসে গিয়েছে। তারা এসে ডিরেক্ট-টু-হোম ব্যবহার করে এই সমস্ত অপারেটর ও তাদের কর্মীদের পথে বসিয়ে দিচ্ছে।” তাঁর সংযোজন, “আমাদের কোনও একটা পলিসি করতে হবে। বড় অপারেটর এসে যাওয়ায় ছোট বন্ধ হয়ে গেল, এটা হতে পারে না। আমরা অম্বানী, আদানিদের আনতে পারিনি। কিন্ত, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।” পুরমন্ত্রীর কাছে কেব্ল অপারেটরেরা বিনোদন কর কমানোর আবেদনও জানিয়েছেন।