Becharam Manna

এক ‘ধমকে’ ইস্তফা, আর এক ‘ধমকে’ প্রত্যাহার বেচারামের

সিঙ্গুরের জনপ্রিয় ‘মাস্টারমশাই’-এর (রবীন্দ্রনাথ এই নামেই পরিচিত) ক্ষোভ সামলাতে হস্তক্ষেপ করেন খোদ দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২০ ০০:৪৬
Share:

বেচারাম মান্না। ফাইল চিত্র।

দুপুরে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সন্ধের মধ্যে তা প্রত্যাহারও করে নিলেন। ‘নেত্রীর বকুনি’ খেয়ে ঈষৎ বিদ্রোহী অথবা অভিমানী হয়ে উঠেছিলেন হারিপালের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। দলের রাজ্য সভাপতির ‘ধমক’ সে ‘বিদ্রোহে’ ইতি টেনে দিল। হরিপাল এবং সিঙ্গুরে বেচা-অনুগামীদের গণ-পদত্যাগের পরিকল্পনাও আপাতত বাতিল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরে বেচারামের ইস্তফার খবর ছড়াতেই তৎপর হন তৃণমূল নেতৃত্ব| বেচারামকে তৃণমূল ভবনে ডেকে পাঠান দলের রাজ্য সভাপতি তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী। সেখানে বক্সী বেচারামকে ‘ধমক’ দেন বলে খবর। সে ‘ধমক’ অবশ্য হুঁশিয়ারি ছিল না, ছিল ‘অভিভাবক সুলভ ধমক’— দাবি বেচা-ঘনিষ্ঠদের। রাজ্য সভাপতির সঙ্গে সেই কথোপকথনেই বেচারামের মান ভাঙে। নেতৃত্বের নির্দেশে তিনি ইস্তফা প্রত্যাহার করে নেন।

সিঙ্গুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের আর এক প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের অনুগামী হিসেবে পরিচিত মহাদেব দাসকে সরিয়ে সম্প্রতি বেচার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত গোবিন্দ ধাড়াকে সভাপতি পদে বসায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাতে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন রবীন্দ্রনাথ। দল ছাড়ার হুমকিও দিয়ে দেন।

Advertisement

আরও পডুন: কাঁথির অধিকারী বাড়িতে ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর, ছিলেন না শুভেন্দু, কথা হল শিশিরের সঙ্গে​

সিঙ্গুরের জনপ্রিয় ‘মাস্টারমশাই’-এর (রবীন্দ্রনাথ এই নামেই পরিচিত) ক্ষোভ সামলাতে হস্তক্ষেপ করেন খোদ দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাতে তিনি বেচার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বলে বেচা ঘনিষ্ঠরা জানান। অবিলম্বে মহাদেব দাসকে ব্লক সভাপতি পদে ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয় বেচাকে। তিনি ওজর-আপত্তি তোলার চেষ্টা করায় তাঁকে সতর্ক করে বলা হয় যে, দলকে যেন বেচা ‘ব্ল্যাকমেল’ করার চেষ্টা না করেন। বেচারামের ঘনিষ্ঠদের দাবি অন্তত সে রকমই।

আরও পডুন: ট্রেনের জন্য অধীরের চিঠি

বেচা যে সামনের ভোটে হরিপালে টিকিট পাবেন না, সে বার্তাও দিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর। তাতেই প্রাক্তন মন্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিধায়ক পদে অবিলম্বে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন|। দুপুরে বিধানসভায় গিয়ে বেচারাম ইস্তফা জমাও দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পিছু হঠেছেন হরিপালের বিধায়ক। বেচার ইস্তফার পরে তাঁর অনুগামীরাও ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শুক্রবার সিঙ্গুর ও হরিপালে বেচা অনুগামীরা দল থেকে গণ-পদত্যাগ করবেন বলে স্থির হয়েছিল। সে পরিকল্পনাও বাতিল হয়ে গিয়েছে বেচা ধমক খাওয়ার পরেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement