কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে বারুইপুরের নির্যাতিতা কিশোরী ও তার চার মাসের পুত্র তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেল রাজ্য লিগ্যাল এড সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।
বিচারপতি দেবাংশু বসাক চার মাস আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সাত দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তার পরেও টাকা না মেলায় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর আদালতের দ্বারস্থ হয় ওই কিশোরী। তার আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরী সোমবার জানান, এ দিন সকালে তাঁর মক্কেলের ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্টে ক্ষতিপূরণের তিন লক্ষ টাকা জমা পড়েছে।
আইনজীবী জানান, গত বছর ১৬মে ওই কিশোরীর বা়ড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে এক যুবক। যুবককে গ্রেফতার করা হয়। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মেয়েটি। জেলা লিগ্যাল এড সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা মেলেনি। পরে রাজ্য লিগ্যাল এড সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন জানায় কিশোরী। সেই আবেদন গ্রাহ্য না হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কিশোরী।
গত এপ্রিল মাসে বিচারপতি বসাকের নির্দেশের পরে কিশোরী পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। বিচারপতি বসাকের নির্দেশ কার্যকর না করায় রাজ্য লিগ্যাল এড সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিচারপতি চক্রবর্তীর আদালতে মামলা দায়ের হয় গত সপ্তাহে। মামলার আবেদনে বলা হয়, কেবল মা-কেই নয়, তার সন্তানকেও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গত শুক্রবার মামলার শুনানি হয় বিচারপতি চক্রবর্তীর আদালতে। ওই দিন লিগ্যাল এড সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষের আইনজীবী ক্ষতিপূরণের টাকা মেটানোর জন্য এক দিন সময় চেয়েছিলেন আদালতের কাছে। বিচারপতি তা মঞ্জুর করেন। এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ কিশোরীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে।