ভোট দিতে গিয়ে প্রহৃত।—নিজস্ব চিত্র।
সকাল থেকে শুরু হওয়া অশান্তি জিইয়ে থাকল দিনের শেষেও।
বুধবার সকালেফরিদপুর (লাউদোহা) ব্লকের নতুনডাঙ্গা এলাকার ডাঙ্গালপাড়ায় চার জন সিপিএম সমর্থককে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন একজন প্রতিবন্ধী মহিলা। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দু’জনকে ধরেছে। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব জানিয়েছেন, “ধৃতদের নাম গোবিন্দ বাদ্যকর ও বন্দীরাম বাদ্যকর। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
সিপিএমের অভিযোগ, এ দিন সকাল ৮ টা নাগাদ মোহন বাদ্যকর তাঁর স্ত্রী ঠান্ডাদেবী, শাশুড়ি জুলুদেবী এবং প্রতিবন্ধী শ্যালিকা মন্ডাদেবীকে নিয়ে ভোট দিতে বেরোন। মন্ডাদেবী প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিশেষ রিক্সায় ছিলেন। নতুনডাঙা কালীমন্দিরের কাছে ২০-২৫ জন মিলে মোহনবাবুর উপরে চড়াও হয়ে লাঠি, রড দিয়ে মারধর শুরু করে। রেহাই পাননি প্রতিবন্ধী মন্ডাদেবীও। তাঁকে রিক্সা থেকে রাস্তায় ফেলে টানা হ্যাঁচড়া করা হয় বলে অভিযোগ। মোহনবাবু পিঠে চোট পান। মোহনবাবুর অভিযোগ, “আমার বাবা সিপিএমের সমর্থক ছিলেন। আমিও তাই। তাই আমাদের উপর হামলা হয়েছে।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী দোলা সেন বলেন, “সকাল থেকে আমি বুথে আমি ঘুরেছি। কিন্তু কোথাও কোনও বেচাল দেখিনি। প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি নিয়ে আমি সিপিএমের ভোটারকে ভোটদানে সহায়তা করেছি এমন ভিডিও রেকর্ডিং আমার কাছে রয়েছে।”
এ দিন সন্ধ্যায় তৃণমূল এজেন্টের বাড়িতে বোমা পড়েছে পাণ্ডবেশ্বরে। ওই এজেন্ট বাড়িতে না থাকলেও তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে বোমায় আহত হয়েছেন। তাঁদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সিপিএম অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।