স্কুলের চাপ কমিয়ে খুদেদের বিনোদনে উদ্যোগী পুরসভা

শহর বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। ভাগীরথী পাড়ের প্রাচীন শহর কালনা এখন আকারে ও বহরে আধুনিক। কিন্তু তারপরেও বিকেলবেলা হলেই মন খারাপ হয়ে যায় শহরের কঁচিকাচাদের। স্কুলের চাপ সরিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর মত জায়গাই নেই এখানে। এত বছর কালনায় কোনও ভাল পার্ক ছিল না। এ বার সেই ছবি বদলে দিয়ে কচিকাঁচাদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করতে এগিয়ে এল কালনা পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৪ ০১:০৪
Share:

নতুন পার্ক। —নিজস্ব চিত্র।

শহর বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। ভাগীরথী পাড়ের প্রাচীন শহর কালনা এখন আকারে ও বহরে আধুনিক। কিন্তু তারপরেও বিকেলবেলা হলেই মন খারাপ হয়ে যায় শহরের কঁচিকাচাদের। স্কুলের চাপ সরিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর মত জায়গাই নেই এখানে। এত বছর কালনায় কোনও ভাল পার্ক ছিল না। এ বার সেই ছবি বদলে দিয়ে কচিকাঁচাদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করতে এগিয়ে এল কালনা পুরসভা।

Advertisement

শুক্রবার, শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাবাগিশ পাড়ায় একটি নতুন শিশু উদ্যানের উদ্বোধন হল। পুরসভার জমিতে এই উদ্যানটি তৈরি করেছে লায়ন্স ক্লাবের কালনা শাখা। এ ছাড়াও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পার্ককে আধুনিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। নতুন চালু হওয়া পার্কে যেমন নানান আধুনিক ‘রাইড’ রয়েছে, তেমনই রয়েছে টয় ট্রেন। এ দিন পার্কের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র কুটির ও প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডু। উদ্বোধনের পরে পার্কে উপস্থিত কচিকাঁচাদের সঙ্গে টয় ট্রেন চালাতে দেখা যায় স্বপনবাবুকে। তিনি বলেন, “ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে। শিশুদের জন্য এত ভাল পরিবেশ কালনা মহকুমায় এর আগে দেখা যায়নি।” বিশ্বজিৎবাবু জানান, কালনা পুরসভা আপাতত ৩৩ বছরের চুক্তিতে পার্কের জমিটি লায়ন্স ক্লাবকে দিয়েছে। তিনি বলেন, “পার্কটি যেহেতু শিশুদের জন্য, তাই এই জমির জন্য পুরসভা কোনও অর্থ নেবে না। পার্কটিকে কোনও রকম ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার না করার জন্য সংশ্লিষ্ট ক্লাবকে অনুরোধ করা হয়েছে।” অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কালনা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ গোস্বামী-সহ বেশ কয়েক জন কাউন্সিলার।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা শহরে শিশুদের জন্য আগে দু’টি পার্ক ছিল। এর মধ্যে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত পার্কটির অবস্থা বেশ খারাপ। ছোট দেউড়ি মোড়ে অবস্থিত অন্য পার্কটিকে আধুনিক করার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। যে পার্কটি এ দিন উদ্বোধন হয়েছে সেটির বিদ্যুৎ খরচ-সহ অন্যান্য দেখভালের খরচ তোলার জন্য থাকছে টিকিটের ব্যবস্থা। লায়ন্স ক্লাবের কালনা শাখার চেয়ারম্যান শম্ভুনাথ অগ্রবাল বলেন, “শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement