শিল্পাঞ্চলে আরও বিদ্যুতের আশ্বাস মমতার

শহরের কেন্দ্র ছেড়ে বাসস্ট্যান্ড দূরে সরে যাওয়ায় যে সমস্যা হচ্ছে, তা দূর করতে বর্ধমানের গ্রামীণ এলাকায় ৫০০ নন-রিফিউজ্যাল ট্যাক্সি এবং ১০৬টি নতুন বাস নামানো হচ্ছে বলে আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৪ ০০:৪৭
Share:

দুঃস্থদের সাহায্য মুখ্যমন্ত্রীর। বুধবার ঝিঙ্গুটির জনসভায় নিজস্ব চিত্র।

শহরের কেন্দ্র ছেড়ে বাসস্ট্যান্ড দূরে সরে যাওয়ায় যে সমস্যা হচ্ছে, তা দূর করতে বর্ধমানের গ্রামীণ এলাকায় ৫০০ নন-রিফিউজ্যাল ট্যাক্সি এবং ১০৬টি নতুন বাস নামানো হচ্ছে বলে আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

বুধবার ঝিঙ্গুটিতে জনসভার মঞ্চে দাঁড়িয়েই রিমোটের মাধ্যমে ৩৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৩২টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধন হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় নদীভাঙ্গন রোধ, সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের জন্য আবাসন নির্মাণ, বক্তারনগর, নোয়াপাড়া, নবগ্রাম ও বোহার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়ন, বহুমুখী ক্ষুদ্র হিমঘর, পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প, সেতু নির্মাণ প্রকল্পের। শিলান্যাস হয়েছে পর্যটকদের জন্য মোটেল নির্মাণ, নদীসেচ ও জল উত্তোলন প্রকল্প, একাধিক পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প ইত্যাদির।

সভার আগে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জেলার আধিকারিকদের বলেছেন, “জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিকেরা ঠিক মতো কাজ করছেন না। তাঁদের কাজ নিয়ে আমাদের কাছে নানা তথ্য আসছে। আমি তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই, যদি এই কাজ করতে ভাল না লাগে তাহলে অন্য দফতরে বদলি নিন।”

Advertisement

তবে সার্বিক ভাবে ‘টিম বর্ধমান’ ভাল কাজ করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তাঁর মতে, “শতকরা ৯৫ থেকে ৯৯ ভাগ কাজ ওঁরা সাফল্যের সঙ্গে করেছেন। মাত্র দু’একটি জায়গায় কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলির দিকে আমি নজর দিতে বলেছি।”

ঝিঙ্গুটির সভায় মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র বলেন, “বর্ধমান জেলার আধিকারিকদের আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ওঁরা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। শতকরা ১০০ ভাগ কাজই করেছেন তাঁরা। আমরা এই মঞ্চ থেকে ডিপিএলের ৩৫০ কোটি টাকার ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্‌ প্রকল্পের শিলান্যাস করছি। এই বিদ্যুত্‌ প্রকল্প জেলার শিল্পাঞ্চলকে উন্নয়নে সাহায্য করবে।”

তবে পুলিশকে সতর্ক করে দিয়ে মমতা বলেছেন, “আরও সক্রিয় হতে হবে। আরও বেশি করে টহলদারি করতে হবে। তবে আমি রাতে না ঘুমিয়ে টহল দিতে বলছি না। রাতে ঘুমোবেন। তার সঙ্গে-সঙ্গে কাজও করবেন।”

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “গোটা রাজ্যে আমরা লক্ষ-লক্ষ লোককে চাকরি দিতে পারব। কাটোয়া তাপবিদ্যুত্‌ কেন্দ্র, ডিপিএল, অন্ডালের বিমানবন্দর ইতাদি নানা প্রকল্পে লক্ষ-লক্ষ ছেলেমেয়ে চাকরি পারেন। আমাদের কাছে নানা সংস্থা বলছে, ছেলেমেয়েদের দিতে। তাঁদের প্রশিক্ষিত করে চাকরি দেবেন তাঁরা। এমন কাজের জোয়ার আগে আসেনি। আমরা সেটা এনেছি। আমরাও ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণ দিয়ে রোজগারের ব্যবস্থা করাব। এমন প্রকল্প করা হচ্ছে, যে আমরা জায়গা দেব, সেখানে দোকান তৈরি করিয়ে দেব।”

তাঁর আশ্বাস, রাজ্য সরকার এ বার পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য প্রকল্প তৈরি করবে, যাতে তারা লেখাপড়া চালানো বা বই কেনার জন্য ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পায়।

নরেন্দ্র মোদী সরকারের রেলবাজেট নিয়ে এ দিনও ক্ষোভ জানিয়েছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা। তিনি বলেন, “আমি রেলে কাজ করেছি। সমস্ত রাজ্যকে, এমনকী কেরলের মত রাজ্যকেও ঢেলে ট্রেন দিয়েছি। আর এ বারের রেল বাজেটে আমাদের একটা সাপ্তাহিক ট্রেনও দেওয়া হয়নি। আমরা অবশ্য ভিক্ষে করব না। আমরা জানি, কী করে অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়। যে দিন সুযোগ আসবে, সে দিন সবটাই আমরা কেড়ে নেব।” তাঁর দাবি, “বাংলা ১০০ দিনের প্রকল্পে প্রথম, ব্যাঙ্কের টাকা সঞ্চালনের কাজে প্রথম। এমন কোনও রাজ্য নেই যারা এক সঙ্গে এত কিছুতে প্রথম হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement