কংগ্রেসের ‘শক্ত ঘাঁটি’ কাটোয়াতেও থাবা বসাল বিজেপি।
১৯৯৫ সালে বাম জমানা থেকেই কাটোয়া পুরসভা কংগ্রেসের দখলে। ১৯৯৬ সাল থেকে কাটোয়া বিধানসভারও দখল নেয় তারা। এমনকী তৃণমূলের রমরমা বাজারেও কাটোয়ায় দাঁত ফোটাতে পারেনি তারা। সেখানে এ বারের লোকসভা নির্বাচনে কাটোয়া শহরে কংগ্রেসের টক্কর হল মূলক বিজেপির সঙ্গে। অল্প ভোটে হলেও কাটোয়া পুরসভার সাতটি ওয়ার্ডে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। ভোট কাটাকাটির অঙ্কে কাটোয়া বিধানসভায় কংগ্রেস পেয়েছে তৃতীয় স্থান।
শুক্রবার ফল ঘোষণার পরে দেখা যাচ্ছে, বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির ভোট যেখানে ১৩ শতাংশ সেখানে কাটোয়া বিধানসভায় বিজেপি ১৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে (মোট ভোট ৩০৬৩২)। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট ছিল ৩.৭৭ শতাংশ (ভোট পেয়েছিল ৭০৩৬)। তবে এ বার শুধুমাত্র কাটোয়া বিধানসভায় কংগ্রেস বিজেপির চেয়ে ১০ হাজারের কিছু ভোটে এগিয়ে। বাকি ৬টি বিধানসভায় কংগ্রেসের ভোট চার সংখ্যা টপকাতে পারেনি। বর্ধমান পূর্ব লোকসভায় কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ৬৮৮৮৪। কালনার কংগ্রেস নেতা লক্ষ্মণ রায়ের মতে, সাংগঠনিক দুর্বলতা যেমন রয়েছে, তেমনি কংগ্রেসের জায়গাতেও তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে মানুষের মনোভাব সঠিক ভাবে প্রতিফলিত হয়নি।
কাটোয়ার পুরপ্রধান শুভ্রা রায়ের ওয়ার্ডে (১৮ নম্বর) বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। ওই ওয়ার্ডের সার্কাস ময়দানেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন সিপিএমের প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র দাস। এই ওয়ার্ডটি ছাড়াও ২, ৩, ৭, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের থেকে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তেমনি গ্রামীণ কাটোয়া এলাকাতে কংগ্রেসের চেয়ে বেশ কিছুটা ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। যার ফলে কংগ্রেসের চেয়ে সিপিএম কাটোয়াতে প্রায় ২১ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে। তবে এই ফলের পরেও পুরসভা বা বিধানসভায় এর প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছে কংগ্রেস। দলের প্রদেশ নেতা তথা কাটোয়ার প্রবীণ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এর আগেও লোকসভা নির্বাচনে কাটোয়াতে আমরা তৃতীয় স্থান পেয়েছিলাম। কিন্তু পুরভোট বা বিধানসভা ভোটে আমাদের ফল ভাল হয়েছিল। তা সত্ত্বেও এ ধরণের ফল কেন হল তা নিয়ে বিশ্লেষণ করব। একই সঙ্গে তিনি মেনে নেন, গোটা রাজ্যে বিজেপির যে হাওয়া বইছে, তার বাইরে বেরোতে পারেননি কাটোয়া শহরের ভোটারেরাও।
পাইপগান-সহ ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা
বৃহস্পতিবার চার দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল কালনা থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে গুলি ভর্তি পাইপগান উদ্ধার করেছে তারা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম হারু সেখ, সাহাবুল সেখ, সঞ্জয় বিশ্বাস এবং বিল্টু সেখ। কালনা-২ ব্লকের দক্ষিণ দুর্গাপুরের বাসিন্দা সেখ আবদুল গফপরের জুয়েলারি দোকান রয়েছে হুগলির পাণ্ডুয়া এলাকাতে। রাতে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল সোনার জল করা রুপোর কিছু গয়না। ফেরার সময়, মোটর বাইক নিয়ে কুলটি এলাকায় তাঁদের ঘিরে ধরে চার দুষ্কৃতী। ছিনিয়ে নেয় গয়নার ব্যাগ। দ্রুত ওই ব্যবসায়ী থানায় ফোন করেন। রাস্তাতে পুলিশ দুস্কৃতীদের ধরে।