রাত দুপুরে এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালনার অভিযোগ উঠল এলাকারই এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দুর্গাপুর শহরের বি-জোনের মার্কনি এলাকার বাসিন্দা সুজিত কর এলাকারই প্রবীর ওরফে লক্ষ্মণ ঘোষালের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ এনেছেন। সুজিতবাবুর বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির পাল্টা অভিযোগ করেছেন প্রবীরবাবুর স্ত্রী। দু’টি অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজিত কর পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, গত ১৫ জুন দুপুর দেড়টা নাগাদ প্রবীর ঘোষাল তাঁর কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা দাবি করে। সুজিতবাবু সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন। সুজিতবাবুর অভিযোগ, তিনি টাকা চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। হুমকিও দেওয়া হয়। ১৬ জুন সুজিতবাবু যখন বর্ধমান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তখন তাঁর পাড়ায় তাঁকে দাঁড় করিয়ে আবার দু’লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে লক্ষ্মণবাবু তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালান বলে অভিযোগ সুজিতবাবুর। সেই গুলি তাঁর কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায় তিনি পুলিশের কাছে জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। টাকা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রবীর ঘোষালের পাল্টা দাবি, সুজিত ও তার দলবল তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছিল। সেই সময়ে আত্মরক্ষার তাগিদেই গুলি চালান তিনি। লক্ষ্মণ ঘোষালের স্ত্রী পুলিশের কাছে সুজিত করের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, ১৬ জুন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ সুজিতবাবু দশ-বারো জন ছেলে নিয়ে মার্কনিতে তাঁদের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে তাঁর স্বামীকে মারধর করেন। তিনি বাধা দিতে গেলে তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয় ও গলার হার ছিনতাই করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছেন, সেই সময় আত্মরক্ষার জন্য লক্ষ্মণবাবু তাঁর নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি চালালে সবাই পালিয়ে যায়।