মাঝে-মধ্যেই সংযোগ মেলে না। ফোন থেকে ইন্টারনেট, বিকল হয়ে পড়ে সবই। বিএসএনএলের এই রকম পরিষেবা নিয়ে ক্ষুব্ধ দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের গ্রাহকেরা।
গত সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে এ সপ্তাহের গোড়া পর্যন্ত বিএসএনএলের পরিষেবা প্রায় বন্ধ ছিল দুর্গাপুরে। বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ থেকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিষেবা অনেকটা স্বাভাবিক। তবে আতঙ্ক যায়নি। কারণ এমন ঘটে মাঝে-মধ্যেই। সংস্থার আসানসোল জেলার ডিজিএম দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কাঁকসার বিরুডিহার কাছে কেব্ল কেটে যাওয়ায় এই সমস্যা। সমাধানের চেষ্টা চলছে।”
বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে এই সমস্যা। কাঁকসা, বুদবুদ, আউশগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি সরকারি দফতর রয়েছে। সেই দফতরগুলিতে রয়েছে বিএসএনএলের সংযোগ। রাস্ট্রীয় টেলিফোন সংস্থার সংযোগ সমস্যায় আটকে যাচ্ছে বহু সরকারি কাজ। বিএসএনএলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও সমস্যা হচ্ছে। লিঙ্ক না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে ব্যাঙ্ক পরিষেবা। বন্ধ হয়ে যায় কয়েকটি এটিএম। পানাগড়ের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের অভিযোগ, গত কয়েক দিনের লিঙ্ক সমস্যায় তাঁদের কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। নিয়মিত সমস্যার কারণে অনেকেই অনেকেই অন্য সংস্থার সংযোগ নিচ্ছেন।
বিএসএনএল সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসার পানাগড় এক্সচেঞ্জে গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছিল সমস্যা। মাঝে শনিবার ঘণ্টাখানেকের জন্য পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও সমস্যা মেটেনি। পানাগড়ের বাসিন্দা দেবাশিস রায়ের অভিযোগ, “গত কয়েক দিন ধরে মোবাইলে কোনও নেটওয়ার্ক ছিল না। অনেক সময় আবার নেটওয়ার্ক থাকলেও ফোন হচ্ছে না।” কাঁকসার তৃণমূল নেতা পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি নিজেই বিএসএনএল ছেড়ে অন্য সংস্থার সংযোগ নিয়েছি।”
বিএসএনএল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিরুডিহার কাছে দু’নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। সেই কাজ করতে গিয়েই মাটির তলায় থাকা বিএসএনএলের কেবল বার বার কেটে যাচ্ছে। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, রাস্তার কাজ চলার জন্য বিএসএনএলকে চিঠি পাঠিয়ে কেব্ল অন্যত্র সরাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই সংস্থা সেই কাজ করেনি।