প্রশাসক বোর্ডে সদ্যপ্রাক্তন মেয়র, বিতর্ক

যিনি ছিলেন মেয়র, পুরবোর্ডের মেয়াদ ফুরনোর পরে তাঁকেই করা হয়েছে অন্যতম প্রশাসক! এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তৃণমূল পরিচালিত আসানসোল পুরসভায়! যাকে শাসক দলের তরফে দলতন্ত্রের নতুন নজির প্রতিষ্ঠা হিসাবেই দেখছে বিরোধীরা!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৩৫
Share:

যিনি ছিলেন মেয়র, পুরবোর্ডের মেয়াদ ফুরনোর পরে তাঁকেই করা হয়েছে অন্যতম প্রশাসক! এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তৃণমূল পরিচালিত আসানসোল পুরসভায়! যাকে শাসক দলের তরফে দলতন্ত্রের নতুন নজির প্রতিষ্ঠা হিসাবেই দেখছে বিরোধীরা!

Advertisement

বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন জানান, রাজ্যের নির্দেশে পুরসভায় দু’জনের প্রশাসক বোর্ড গড়া হয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (আসানসোল) সুমিত গুপ্ত। অন্য সদস্য হন সদ্যপ্রাক্তন মেয়র তথা আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাশাসক জানান, পুরসভার সিদ্ধান্ত দু’জনই নেবেন।

পুরসভা বা পঞ্চায়েতে বোর্ডের মেয়াদ ফুরোলে ভোট না হওয়া পর্যন্ত সরকারি প্রতিনিধিকে প্রশাসক করে কাজ চালাতে বলাই নিয়ম। আসানসোলে প্রাক্তন মেয়রকে প্রশাসক বোর্ডের সদস্য করায় বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, প্রশাসনের মধ্যে দলতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত। নরওয়ে থেকে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বলেন, “অযৌক্তিক, অসাংবিধানিক এবং প্রতারণামূলক সব কিছুই তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত। আর দিদির সিদ্ধান্তগুলো তো ফ্যাসিবাদী চরিত্রেরই হয়ে থাকে!” বাবুলের অভিযোগ, “তৃণমূল হারার ভয়ে এত ভীত যে, এমন অসাংবিধানিক কাজ নির্লজ্জ ভাবে করতে তাদের দ্বিধা হচ্ছে না!” পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা সিপিএম নেতা তাপস রায় বলেন, “আগামী ভোটের আগে ফায়দা তুলতে প্রশাসনিক কাজে দলীয় প্রভাব খাটাতেই এই সিদ্ধান্ত।” আসানসোলের কংগ্রেস নেতা তথা দলের প্রদেশ সম্পাদক আকাশ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “এটা আইন বহির্ভূত সিদ্ধান্ত!” তৃণমূলের বর্ধমান জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি ভি শিবদাসন পাল্টা বলেছেন, “বিরোধীরা কী বলছেন, সে সব নিয়ে ভাবছি না! তাপসবাবুর পুরসভা চালানোর অভিজ্ঞতা আছে। তিনি পরিষেবামূলক কাজ ঠিক মতো চালাতে পারবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement