প্রস্তুতি সারা। আসানসোলে তোলা নিজস্ব চিত্র।
ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে গোলাপের জোগানে যেন ভাটা না পড়ে। রানিগঞ্জ থেকে চিত্তরঞ্জন, শিল্পাঞ্চলের সর্বত্রই তা নিশ্চিত করতে তৎপর ফুল ব্যবসায়ীরা।
বছরের এই দিনটিতে গোলাপের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তা-ও যেমন-তেমন গোলাপ হলে চলবে না। চাই হরেক রঙের ডাচ গোলাপ। যদি তা না মেলে তবে অন্তত মিনি পল পাওয়া চাই। এই চাহিদা মেটাতে ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে ফুলের পুরনো ব্যবসায়ীরা তো বটেই, পসরা সাজিয়ে বসেন ফুটপাথের দোকানদারেরাও।
এই শিল্পাঞ্চলে ফুলের বড় আড়ত বলতে আসানসোলের হকার্স মার্কেট বা স্টেশন বাজার। এখানকার ব্যবসায়ীরা জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারির জন্য তাঁরা আগেভাগে ফুলের জোগান নিশ্চিত করে রাখেন। এ বারও তার অন্যথা হয়নি। শুক্রবার সেখানে গিয়ে দেখা গেল, বাক্স বোঝাই লাল গোলাপের কুঁড়ি আনা হয়েছে। ফুল ব্যবসায়ী মহম্মদ পারভেজ বলেন, বাজারে ফুলের জোগান প্রচুর। কিন্তু ক্রেতা কমেছে আগের তুলনায়।” এই ফুল ব্যবসায়ীর দাবি, এর কারণ, প্রথমত দাম বেড়েছে। ভাল জাতের ফুলের এখন আকাশছোঁয়া দাম। পাঁশকুড়া, মেদিনীপুর থেকে যে সাধারণ মানের গোলাপ আসছে তার একটির দামই পড়ে যায় ১৫ টাকা। অথচ, সেই ফুলের সতেজতা বেশিক্ষণ থাকে না। সকালের ফুল বিকেলেই নেতিয়ে যাচ্ছে। তাই মানুষ এখন কৃত্রিম ফুলের দিকে ঝুঁকছেন বেশি। সেই ফুল থাকছেও বছরভর। একই মত আসানসোলের স্টেশন বাজারের ফুল বিক্রেতা পিন্টু বারুইয়ের। তিনি বলেন, “তা সত্ত্বেও লম্বা ডাঁটির গোলাপের কাঁটা ছাড়িয়ে তৈরি করে রেখেছি। দাম সাধ্যের মধ্যেই আছে।”
আসানসোলের একটি বড় ফুলের দোকানের কর্ণধার অশোকা মুখোপাধ্যায় জানান, এ বার ডাচ গোলাপের চাহিদা বেশ ভাল। এই ফুলের সবুজ লম্বা ডাঁটি, গায়ে কাঁটা নেই। ডাঁটির মাথায় কাপের আকারের ফুল। লাল, হলুদ. গাঢ় গোলাপি, হালকা গোলাপি, সাদা, দু’রঙা বিভিন্ন রকম হয় এই গোলাপ। অশোকা জানান, একটি গোলাপের দাম পড়ছে প্রায় ৪০ টাকা। এই গোলাপের স্থায়িত্বও অনেক বেশি। তরতাজা গোলাপের সৌরভ মেলে কয়েক দিন। এ বার চাহিদা বেশি গাঢ় গোলাপি রঙের ডাচ গোলাপের।
ব্যবসায়ীরা জানান, এ ছাড়া রয়েছে মিনিপল বা ম্যাটগোট। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, এর জৌলুস ডাচের তুলনায় কম। তাই ক্রেতাদের চাহিদা মতো ফুলের উপরে গ্লিটার ছড়িয়ে চকচকে করে দিতে হয়। তখন এর জৌলুস দেখার মতো হয়।আয়োজন একেবারে পাকা। ভালবাসার দিনে হৃদয়ের কথা জানিয়ে দিতে তৈরি গোলাপ।