অন্ডাল বিমাননগরীর উপর দিয়ে যাওয়া উচ্চ পরিবাহী বিদ্যুতের লাইন সরাতে প্রয়োজনীয় জমির জন্য চাষিদের সম্মত করতে মঙ্গলবার ফের বৈঠক করলেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। সাত জন জমিমালিকের তিন জন রাজি হলেও বাকিরা দাম নিয়ে সম্মতি দেননি বলে জানা গিয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রী অবশ্য দাবি করেন, সমস্যা মিটে গিয়েছে।
বিমাননগরী নির্মাণে নিযুক্ত সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দারা এর আগে বারবার জমি সমীক্ষার কাজে বাধা দিয়েছেন। ‘ইছাপুর কৃষিজমি রক্ষা ও সংগ্রাম কমিটি’র সম্পাদক উত্তম গড়াই অভিযোগ করেন, ক্ষতিপূরণ নিয়ে স্থির সিদ্ধান্তের আগেই সমীক্ষা শুরু হয়েছিল। জমিমালিক, বর্গাদার ও খেতমজুরদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরে জমি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। অচলাবস্থা কাটাতে রবিবার দুর্গাপুরে মন্ত্রী মলয়বাবু গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সোমবার থেকে জমি সমীক্ষা করতে দিতে সম্মত হন গ্রামবাসীরা। পরে বৈঠক করে জমিমালিক, বর্গাদার এবং খেতমজুরের সংখ্যা ও ক্ষতিপূরণের হার চূড়ান্ত করার আশ্বাস দেন মলয়বাবু। মঙ্গলবার ফের বৈঠক হয়। দেখা যায়, টাওয়ার যাঁদের জমিতে বসবে তেমন মালিক রয়েছেন সাত জন। তিন জন দামের ব্যাপারে সম্মত হলেও বাকিরা হননি। জমি মালিক অনুপ চক্রবর্তীর দাবি, “দাম নির্দিষ্ট না হওয়া পর্যন্ত আমার জমিতে কাজ করতে দেব না।”
মন্ত্রী অবশ্য জানান, বৈঠকে টাওয়ারের জন্য জমির দাম চূড়ান্ত হয়েছে। বড় টাওয়ারের জন্য ২ লক্ষ, মাঝারির জন্য দেড় লক্ষ এবং ছোট টাওয়ারের জন্য ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। খেতমজুর ও বর্গাদারের সমস্যাও মিটে গিয়েছে। উত্তমবাবু বলেন, “দাম নিয়ে কয়েক জনের অসন্তোষ রয়েছে। আশা করি, দ্রুত তা মিটে যাবে।”