চলন্ত ট্রেনে ধূপ-ধুনো জ্বেলে বিশ্বকর্মা পুজো নিত্যযাত্রীদের

এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরায় বিশ্বকর্মা পুজোয় মাতলেন নিত্যযাত্রীরা। বুধবার ধানবাদ-হাওড়া কোলফিল্ড সুপারফাস্ট ট্রেনের চারটি কামরায় এই পুজো হয়। অগ্নিবিধি শিকেয় তুলে কী ভাবে এই পুজো হল, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।

Advertisement

সুশান্ত বণিক

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৪৮
Share:

ট্রেনের মধ্যে চলছে পুজো। —নিজস্ব চিত্র।

এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরায় বিশ্বকর্মা পুজোয় মাতলেন নিত্যযাত্রীরা। বুধবার ধানবাদ-হাওড়া কোলফিল্ড সুপারফাস্ট ট্রেনের চারটি কামরায় এই পুজো হয়। অগ্নিবিধি শিকেয় তুলে কী ভাবে এই পুজো হল, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।

Advertisement

এ দিন ওই ট্রেনের কামরাগুলি সুন্দর করে সাজানো হয়। যাত্রীদের আসনে প্রতিমা রেখে ধুপ-ধুনো-প্রদীপ জ্বেলে পুজো হয়। সে জন্য পুরোহিত আনা হয়েছিল। পুজো শেষে তাসা ও ঢাক বাজিয়ে নাচও হয়। সব শেষে যাত্রীদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। ধানবাদ, আসানসোল, রানিগঞ্জ ও দুর্গাপুরএই চার জায়গার নিত্যযাত্রীরা এই পুজো করেন। ওই নিত্যযাত্রীরা জানান, মঙ্গলবার রাত থেকেই তাঁরা ট্রেনের কামরায় পুজোর প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। বুধবার ভোরে ধানবাদ থেকে ট্রেন ছাড়ার পরেই পুজোর আয়োজন হয়। প্রতিমা নিয়ে বুধবার রাতেও ট্রেন ফিরবে ধানবাদে। আজ, বৃহস্পতিবার ট্রেন হাওড়া পৌঁছনোর পরে প্রতিমা বিসর্জন করা হবে বলে জানান নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের তরফে রাজেন্দ্র মাহাতো, ধর্মদাস চৌধুরীদের দাবি, বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁরা এই ট্রেনের কামরায় পুজো করছেন। রাজেন্দ্রবাবু বলেন, “সারা বছর পরিশ্রম করি। এই দু’টো দিন সবাই মিলে একটু আনন্দ করি।” কিন্তু, রেলের তরফে যেখানে ট্রেনে কোনও দাহ্যবস্তু বহন না করার আবেদন জানানো হয়, সেখানে ধূপ-ধুনো জ্বেলে পুজো করা কতটা যুক্তিযুক্ত? এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি নিত্যযাত্রীরা।

এত বছর ধরে কী ভাবে ট্রেনে প্রদীপ-ধূপ জ্বালিয়ে পুজো হচ্ছে, সে নিয়ে মুখ খুলতে চাননি রেলের কর্তারাও। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আধিকারিক জানান, নিত্যযাত্রীরা অনেক সঙ্ঘবদ্ধ থাকেন বলে সাধারণ যাত্রীরা প্রতিবাদ করেন না। কোনও অভিযোগও করতে চান না। তবে যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে এই পুজো করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানান আসানসোলের এডিআরএম ইসাক খান। তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। ধানবাদ ডিভিশনের সঙ্গে কথা বলে বিশদে জানার চেষ্টা করছি। এটি বন্ধ হওয়া উচিত।” আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক বিশ্বনাথ মুর্মুও জানান, রেল কর্তৃপক্ষের কাছে এ রকম কোনও খবর নেই। তবে কে বা কারা এ সব করেছেন, রেলের তরফে তা তদন্ত করে দেখা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement