নিয়োগের পরেও বর্ধমান পুরসভার চার কাউন্সিলরের আপত্তিতে বন্ধ হয়ে গেল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১২ জন অস্থায়ী চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর কাজ।
সোমবার হাসপাতালের সুপার তথা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সহ-অধ্যক্ষ উৎপল দাঁয়ের সঙ্গে দেখা করে কাউন্সিলর রত্না রায়, সৈয়দ মহম্মদ সেলিম, শেখ বসিরউদ্দিন ও সেলিম খান আপত্তি জানান। তাঁদের দাবি, ওই ১২ জনই বহিরাগত। তাই তাঁদের বদলে স্থানীয় বেকার যুবকদের হাসপাতালের কাজে নিয়োগ করতে হবে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১৪২ জন চতুর্থ শ্রেণির ঠিকা কর্মী এখন এই হাসপাতালে কাজ করেন। এ ছাড়া অতিরিক্ত ২৩ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। ১৪২ জনের কেউ কাজে না এলে তাঁদের জায়গায় ওই ২৩ জনের মধ্যে থেকে কাউকে কাজে নেওয়া হয়। প্রতি দিন ৯০ টাকা মজুরি পান তাঁরা। এ দিন ওই চার কাউন্সিলর আরও দাবি করেন, ওই ২৩ জনের মধ্যেও যাঁরা স্থানীয় বাসিন্দা তাঁদেরই কাজে নিতে হবে।
কাউন্সিলর রত্না রায় দাবি করেন, “আমরা ওই লোকেদের কাজ জোর করে বন্ধ করে দিইনি। তাদের কাজ থেকে তাড়িয়েও দিইনি। শুধু হাসপাতালের সুপারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি, বর্ধমানের গরিব মানুষজনকে ওই পদে নিতে হবে।” তাঁর প্রশ্ন, “হাসপাতালের জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ করানো হচ্ছে মঙ্গলকোট, কাশেমনগর, গুসকরার লোকেদের দিয়ে। বর্ধমান শহরে কি গরিব মানুষ নেই?”
হাসপাতালের সুপার উৎপলবাবু বলেন, “রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে ওই ১২ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। সকলেই অস্থায়ী কর্মী। সোমবার শহরের চার কাউন্সিলরে ওই নিয়োগ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁ ওঁদের নিয়োগ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।”
তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবারই ওই ১২ জনকে কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। মাত্র দু’দিনের মধ্যে তাঁদের নিয়োগ স্থগিত হয়ে যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতাল-সহ গোটা শহরেই চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।