আইএসপি কারখানার গেট থেকে ভগত্ সিংহ মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার এই পরিস্থিতি। আসানসোলে ছবিটি তুলেছেন শৈলেন সরকার।
বর্ষার বৃষ্টিতে খানাখন্দে ভরা রাস্তার জন্য সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। বার্নপুর থেকে আসানসোলগামী রাস্তার মধ্যে ভগত্ সিংহ মোড় থেকে স্কব গেট পর্যন্ত এলাকায় তৈরি হয়েছে এই সমস্যা। প্রায় একই অবস্থা হল আসানসোল কোর্ট বাজার সংলগ্ন রেলওয়ে ক্রসিং এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনকে এই বিষয়ে জানানোর পরে কোনও সমাধান হয়নি।
রাস্তার বেহাল দশার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেই সমস্যায় পড়েছেন বাসের চালকেরাও। আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা জানান, রাস্তা যান চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে চালক ও কর্মীরা আতঙ্কিত। কারণ বেহাল রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটলে চালকদের উপরেই দোষ পড়বে বলে আশঙ্কা তাঁদের। এক বাস চালক জানান, বেহাল রাস্তা দিয়ে নির্ধারিত সূচি মেনে বাস চালানো সম্ভব হচ্ছে না। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতেও বেশি সময় লাগছে। এ ছাড়া রাস্তার খন্দে পড়ে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভাঙার ঘটনাও ঘটছে। ওই দুই রাস্তার নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, বাসে করে স্কুল, কলেজ, অফিসে পৌঁছাতে যেমন দেরি হচ্ছে তেমনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ রায়ের অভিযোগ, “জঘন্য রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে লোকসান হচ্ছে বাস মালিকদের। আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত আসানসোল মহকুমা মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়াকার্স ইউনিয়নের সম্পাদক রাজু অহলুওয়ালিয়ার দাবি, প্রশাসনের কাছে ওই রাস্তাগুলি সারানোর দাবি জানানো হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, বার্নপুর রোডটিতে সংস্কারের কাজ চলছে। দুর্গাপুজোর আগেই সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “বিষয়টি পুরসভা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা চলছে।”