মুস্থুলির এই কালভার্ট নিয়েই ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র
রাজ্য সড়ক থেকে গ্রামে ঢোকার মুখে বেঁকে গিয়েছে রাস্তা। সেই বাঁকেই ব্রহ্মাণী নদীর উপর রয়েছে একটি রেলিংবিহীন ভাঙাচোরা কালভার্ট। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই কালভার্ট থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক সাইকেল আরোহীর। তারপরেই কাটোয়ার মুস্থূলির বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, বারবার আবেদন সত্ত্বেও কালভার্ট সংস্কারে গা নেই সেচ দফতরের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এসটিকেকে রোড থেকে মুস্থূলি-পাঁচবেড়িয়া হয়ে চাণ্ডুলী যাওয়ার রাস্তার বাঁকে পড়ে ওই ফুট দশেক চওড়া কালভার্টটি। কালভার্টের নীচে সেচখাল অবশ্য বছরভর জলের দেখা মেলে না। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন সন্ধ্যায় কাজ সেরে সাইকেলে চেপে অগ্রদ্বীপের সাহাপুরে বাড়ি ফেরছিলেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায় (৪২)। পথে ওই সাঁকো থেকে ফুট নয়েক নীচে পড়ে যান তিনি। মাথায় চোট লেগে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে ওই পথ দিয়ে মুস্থূলি যাওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা লক্ষ্য করেন তাঁকে। কাটোয়া হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান পেশায় কেবল ব্যবসায়ী শুভাশিসবাবুকে। তাঁর স্ত্রী মানসী মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘পুরো রাস্তাটা অন্ধকার। কালভার্টে রেলিংও নেই শুনেছি। তাতেই এত বড় বিপদ হয়ে গেল।’’
জগদানন্দপুর পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, সেচ দফতরের কালভার্টটি রয়েছে রাস্তার ঠিক বাঁকে। একে তো রেলিং নেই, তার পর কালভার্টের নীচটাও দীর্ঘ সংস্কারের অভাবে ভেঙে পাথর, ইট বেরিয়ে গিয়েছে। সেগুলো যত্রতত্র ছড়িয়েছিটিয়ে রয়ছে। নদীতে অল্প জলও রয়েছে এখন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সন্ধ্যায় আলো না থাকায় ওই বাঁকে মোটরবাইক ও সাইকেল আরোহীদের প্রায়ই ছোটবড় দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হচ্ছে।
প্রধান গৌতম ঘোষাল বলেন, ‘‘গত বছর ওই কালভার্টটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে সেচ দফতরে চিঠি দিই। কাজ না হওয়ায় গত সপ্তাহে ফের ওই দফতরকে জানাই যে ওঁরা যদি সংস্কার না করেন তবে অন্তত এনওসি দিন। পঞ্চায়েতই সারিয়ে নেবে।’’ শীঘ্রই সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমা সেচ আধিকারিক সোমনাথ ঘোষ।