Durgapur

থমকে সাফাই, ক্ষোভ কর্মীদের

বিক্ষোভকারীরা জানান, মাসের অর্ধেক কেটে গেলেও মজুরি পাননি তাঁরা। অনেকের দু’-তিন মাসের মজুরি বকেয়া রয়েছে। ইএসআইয়ের সুবিধা ঠিক মতো মিলছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৪৪
Share:

কর্মী-ক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

মার্চে বিক্ষোভ দেখানোর পরে মজুরি পেয়েছিলেন পুরসভার সাফাইকর্মীরা। কিন্তু এ মাসের প্রায় অর্ধেক হয়ে গেলেও এখনও মজুরি পাননি তাঁরা। এই অভিযোগে শুক্রবার পরিষেবা বন্ধ রেখে দুর্গাপুর পুরসভার সামনে বিক্ষোভে শামিল হলেন সাফাইকর্মীরা।

Advertisement

সাফাইকর্মীদের বক্তব্য, আগে মাসের ৪-৫ তারিখের মধ্যে মজুরি পেতেন তাঁরা। মার্চের মজুরি নির্দিষ্ট সময়ে না পাওয়ায় ২০ তারিখ তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। এর পরে পুরসভার হস্তক্ষেপে মজুরি পান তাঁরা। পুরসভার তরফে তাঁদের জানানো হয়েছিল, জানুয়ারি থেকে নতুন ঠিকা সংস্থা কাজের বরাত পেয়েছে। কাগজপত্রের কাজ সময়ে শেষ করতে না পারায় এই সমস্যা হয়েছে। পরের মাস থেকে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি বলে অভিযোগ সাফাইকর্মীদের।

বিক্ষোভকারীরা জানান, মাসের অর্ধেক কেটে গেলেও মজুরি পাননি তাঁরা। অনেকের দু’-তিন মাসের মজুরি বকেয়া রয়েছে। ইএসআইয়ের সুবিধা ঠিক মতো মিলছে না। দিন চারেক আগে ডিপিএল এলাকার বাসিন্দা সাফাইকর্মী শঙ্খ চক্রবর্তী মস্তিষ্কের সমস্যায় ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখান থেকে তাঁকে শোভাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযোগ, কাগজপত্র ঠিক না থাকায় বেসরকারি হাসপাতালে সমস্যা হয়। ঠিক মতো চিকিৎসা না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অবিলম্বে সময়ে মজুরি, সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি, ইএসআই এবং পিএফের দাবি জানিয়ে এ দিন সাফাইকর্মীরা বিক্ষোভে শামিল হন। ফলে, শহরে বন্ধ হয়ে যায় সাফাই-পরিষেবা। বিক্ষোভকারীরা বলেন, “মানছি, সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা শহরবাসীর জন্য কাজ করি। তাই শহরবাসীকেও আমাদের সমস্যাটা বুঝতে হবে।”

Advertisement

দুর্গাপুর পুরসভায় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল আরবান এমপ্লয়মেন্ট স্কিম’-এ প্রায় ১৭০০ অস্থায়ী সাফাইকর্মী রয়েছেন। বর্তমানে তাঁদের ‘মিশন নির্মল বাংলা’ প্রকল্পে কাজে লাগানো হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কিছু অস্থায়ী চালক ও সাফাইকর্মী নেওয়া হয়েছে। সুডা-র (স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট এজেন্সি) উদ্যোগে দুর্গাপুরের শঙ্করপুরে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের কাজ করছে একটি বেসরকারি সংস্থা। সে জন্য বাড়ি থেকে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করে সংগ্রহ করার পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। এ দিন বিক্ষোভের ফলে আবর্জনা সংগ্রহের কাজ হয়নি।

পুর-প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানান, প্রকল্পে কর্মীদের সরাসরি পুরসভা মজুরি দেয় না। দরপত্রে নির্বাচিত এজেন্সির মাধ্যমে পুরো বিষয়টি পরিচালিত হয়। অসমের একটি এজেন্সি দায়িত্ব পেয়েছিল। অনিন্দিতা বলেন, “সেই এজেন্সিকে গাফিলতির কারণে বৃহস্পতিবার বাতিল করে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আপাতত পুরসভা সরাসরি মজুরি মেটাবে। দরপত্রে দ্বিতীয় হওয়া এজেন্সিকে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement