বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন থামার সঙ্গে রেলের চিকিৎসক এবং নার্সরা পৌঁছে যান নির্দিষ্ট কামরায়। —প্রতীকী চিত্র।
কাজের সূত্রে থাকতেন ভিন্রাজ্যে। ফিরছিলেন বাড়ি। হঠাৎ ট্রেনের মধ্যে তীব্র প্রসববেদনা শুরু হয় পরিযায়ী শ্রমিকের। বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ঢোকামাত্র নির্দিষ্ট কামরায় ছুটে গেলেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের সহায়তায় নির্বিঘ্নে সন্তানপ্রসব করলেন বধূ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান স্টেশনে ১২৫০৭ আপ তিরুঅনন্তপুরম-শিলচর এক্সপ্রেসে।
রেল সূত্রে খবর, কাজের সূত্রে কেরলে থাকতেন উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা টেরেসা হাঁসদা। স্বামীর সঙ্গে তিনি শিলচর আরোনাই এক্সপ্রেসে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু ট্রেনের মধ্যে হঠাৎ প্রসববেদনা শুরু হয় তাঁর। উপায়ন্তর না দেখে রেলের অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মহিলার স্বামী রুবিন মাণ্ডি। এমন খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ তৎপর হন কর্তৃপক্ষ। ট্রেনটি বর্ধমান স্টেশনের ২ নম্বর প্লাটফর্মে ঢোকামাত্র স্টেশনের দায়িত্ব থাকা চিকিৎসক এবং নার্সরা চলে যান এস ১২ নম্বর কামরায়। তার পর নির্বিঘ্নেই ওই প্রসূতি একটি শিশুর জন্ম দেন।
ট্রেনটি বর্ধমান স্টেশনে থামার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক এবং নার্সরা চলে যান নির্দিষ্ট কামরায়। —নিজস্ব চিত্র।
প্রসূতির স্বামী রুবিন মাণ্ডি জানান, তাঁরা মাস ছয়েক আগে কেরলে গিয়েছিলেন। সেখানে স্বামী-স্ত্রী রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতেন। কিন্তু স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ায় বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ট্রেনের টিকিটের জন্য চেষ্টা করেও সফল হননি। তাই বাধ্য হয়ে আরোনাই এক্সপ্রেসের টিকিট কাটেন। তাঁদের নামার কথা ছিল কিষাণগঞ্জ স্টেশনে। রুবিন আরও জানান, এক শিশুপুত্রকে নিয়ে তাঁরা কাজে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একটি সন্তান আছে। রেল কর্তৃপক্ষের এই ব্যবস্থাপনায় তাঁরা ভীষণ খুশি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘রেলের পক্ষ থেকে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রী সুরক্ষার জন্য যথাযথ পরিষেবা দিতে পেরে আমরাও খুশি।’’