প্রতীকী চিত্র।
পুলিশের পাশাপাশি, এ বার নিঃসঙ্গ বয়স্ক নাগরিকদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের কথা জানিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদ, আসানসোল এবং দুর্গাপুর পুরসভা। এ বিষয়ে একটি প্রাথমিক বৈঠকও করেছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও দুই পুরসভার মেয়র। জানা গিয়েছে, ২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে প্রকল্পের কাজ।
সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ভার্চুয়াল বৈঠকে’ শহর ও গ্রামের নিঃসঙ্গ বয়স্কদের জন্য সাহায্য করার জন্য বার্তা দেন। এর পরেই আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের অনেকেই বহুতল আবাসনগুলির আবাসিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। ডিসিপি (সেন্ট্রাল) সায়ক দাস জানান, সম্প্রতি আসানসোলের কুমারপুরে একটি বড় বহুতল আবাসনে গিয়ে সেখানকার সোসাইটির কর্ণধার ও প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের সমস্যার কথা শুনেছেন। কোনও রকম সহযোগিতা প্রয়োজন হলে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর পরে এই কাজে নেমেছে জেলা পরিষদ ও পুরসভাও। আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘আসানসোল, দুর্গাপুর, এই দু’টি পুরসভা এবং জেলা পরিষদ মিলে জেলা জুড়ে এই কাজটি করা হবে।’’ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল ও দুর্গাপুর পুর-এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন পঞ্চায়েতের আধা শহরাঞ্চলে অনেক বহুতল আবাসন আছে। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, সেগুলিতেও বসবাসকারী নিঃসঙ্গ বয়স্ক মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। পুরসভা ও জেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে তাঁদের সম্পর্কে খোঁজখবর করা হবে।
কী ভাবে এই কাজ? পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিপূর্বে আসানসোল পুরসভার তরফে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে ছোট-ছোট দল তৈরি করে নিঃসঙ্গ বয়স্কদের সহযোগিতায় কাজ করা হয়েছে। পাশাপাশি, আসানসোল পুরসভা বিভিন্ন এলাকায় ‘টোল ফ্রি’ নম্বরও ছড়িয়ে দেয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিঃসঙ্গ বয়স্ক নাগরিকেরা ওষুধ, অ্যাম্বুল্যান্স-সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী চেয়ে ওই ‘টোল ফ্রি’ নম্বরে ফোন করে সাহায্য পেয়েছেন বলে দাবি। এ বারও ঠিক ওই অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগানোর কথা জানানো হয়েছে।
দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র দিলীপ অগস্তি জানান, দুর্গাপুরেও বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। তাঁদেরকেই আরও সক্রিয় করে সুসংহত ভাবে কাজে নামানো হবে। তিনি জানান, পুরসভার তরফে বিভিন্ন এলাকায় টোল ফ্রি নম্বর দেওয়া হবে। সেখানে ফোন করে সাহায্য চাইলেই তা পাবেন বয়স্করা। পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুভদ্রা বাউড়ি বলেন, ‘‘দুই পুরসভা এই কাজটি অনেক দিন ধরেই করছে। তাই পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতেও যাতে এ ভাবে বয়স্কদের পাশে দাঁড়ানো যায়, তা নিশ্চিত করতে যৌথ ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।’’